২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তারুণ্যের চাওয়া -নিজের ভোট নিজে দিতে পারা আর উন্নয়নের ধারা

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
জানুয়ারি ২৮, ২০২১
23
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

চতুর্থ ধাপে অর্থাৎ আগামী ১৪ ফেব্রæয়ারি আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে ৩ জন মেয়র, ১২ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও ৩৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত ২৭ জানুয়ারি প্রতিক বরাদ্ধ পেয়ে শহর জুড়ে বইছে নির্বাচনী আমেজ। প্রতীক বরাদ্দের সাথে সাথে মোটর সাইকেল শো-ডাউনসহ ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। মূল সড়ক ও অলিগলিতে প্রার্থীদের প্রচারণাও তুঙ্গে। চায়ের আড্ডা থেকে রাজনৈতিক অঙ্গন-সর্বত্র আলোচনায় পৌর নির্বাচন।

আর এই নির্বাচকে ঘিরে প্রথম নবীন ও তরুণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। ইতোপূর্বে গত ১২/১৩ বছর প্রকৃত অর্থে অধিকাংশ তরুণ নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তারা চাচ্ছেন - নিজের ভোট নিজে দিতে। ইভিএম -এ ভোট দিতে কোন সাহায্যকারীর প্রয়োজন নেই। অসুবিধা হলে প্রিজাইডিং অফিসারের সাহায্য নেবেন। অর্থাৎ নিজের ভোট পছন্দের প্রার্থিকে নিরঙ্কুশভাবে নিজেই প্রয়োগ করতে চান। সাহা্য্েযর নামে প্রতারণার শিকার হতে চান না।
তারা চাচ্ছেন সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হোক। উন্নয়নে আলমডাঙ্গা যতটা পিছিয়ে, সে ক্ষতিপূরণ যেন নির্বাচিত হয়ে মেয়র সহজে করে নিতে পারেন। উন্নয়নে অগেগতিতে আলমডাঙ্গা হোক দেশের অন্যান্য ১ম শ্রেণির পৌরসভার সমকক্ষ। আর পশ্চাদপসরণ না, সামনে এগিয়ে যাক তাদের প্রিয় আলমডাঙ্গা।

আলমডাঙ্গার সবচে বড় ফেসবুক গ্রুপ " আমাদের আলমডাঙ্গা"-র অ্যাডমিন শাহিনুজ্জামান শাহিন জানান, "এমন মেয়র নির্বাচিত করা প্রয়োজন যাতে সহজেই আমরা কাঙ্খিত উন্নয়ন পেতে পারি। দেশের অন্যান্য এলাকার ১ম শ্রেণির পৌরসভার মত সমান তালে যাতে আলমডাঙ্গা পৌর শহরের উন্নয়ন করতে পারেন। এ ব্যাপারে মেয়র প্রার্থিদের কমিটমেন্ট থাকতে হবে।"

সুবীর ইসলাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। তিনি জানান, " এর পূর্বে ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। ইভিএম -এ ভোট হবে। তাই কিছুটা আশা আছে যে হয়তোবা এবার ভোট দিতে পারবো। তবে আমি নিজের ভোট নিজেই দিতে চায়। ইভিএম মেশিনে ভোট দিতে সহযোগিতার নামে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ শুনছি। আমি প্রথম ভোট দেবো। প্রতারিত হতে চাই না। কারও সাহায্য ছাড়া নিজের ভোট নিজেই দিতে চাই।"
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন অফিসসূত্রে জানা যায়, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে হালনাগাদ ভোটার সংখ্যা ২৬ হাজার ১শ ৩৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১২হাজার ৫ শ ৮১ জন এবং নারী ১৩ হাজার ৫শ ৫৮ জন। মোট ভোটারের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটার তরুণ।

গোবিন্দপুর ৬ নং ওয়ার্ডের নবীন ভোটার সুজন মাহমুদ বলেন, '" সংঘাত নয়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জীবনের প্রথম ভোটটি এলাকার উন্নয়নে যোগ্য একজন প্রার্থীকে দিতে চাই। একই সাথে যোগ্য কাউন্সিলর নির্বাচিত করা উচিৎ। কিন্তু কিছু প্রার্থীর আচরণ দেখে হতাশায় আছি। জীবনের প্রথম ভোটটি এমন কাউকে দিতে চাই না যিনি ক্ষমতায় গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন। "

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনার্স পড়ুয়া এক ছাত্রী বলেন, নাগরিকদের নিরাপদ ও উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে পারবেন এমন নেতৃত্ব দেখতে চান। এলাকার উন্নয়ন, নারী শিক্ষা, নারীর ক্ষতমায়ন ও সম্প্রীতি বজায় রাখবেন এমন প্রার্থীর জয় চান তিনি।

এছাড়াও একাধিক শিক্ষার্থী নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে না চাইলেও তাদের অভিমত তারা এমন একজন পৌর পিতাকে চান, যিনি আসলে সৎ, নীতিবান,এবং কর্তব্য পরায়ন হবেন। দল-মত নির্বিশেষে সকল নাগরিকের অভিভাবক হবেন।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram