১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ডেনিশ দম্পতির সাড়া জাগানো গ্রন্থ "ঝগড়াপুর": প্রসঙ্গকথা

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
জুলাই ১৮, ২০২০
227
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

রহমান মুকুলঃ মেহেরপুর জেলার গাংনী উপ‌জেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের এক অজোপাড়াগাঁ এখন বাংলাদেশ তো বটেই বিশ্বের বিদগ্ধজনদের নিকট কীভাবে ঝগড়াপুর হিসেবে পরিচিতি পেল? অবাক হলেও সত্য যে শুধুমাত্র ঝগড়াপুর নামক একটি গ্রন্থই এই পরিচিতি এনে দিয়েছে। এ গ্রন্থে অনুপ্রাণিত হয়ে মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মেয়েদের শিক্ষাবৃত্তি ও পরিবার পরিকল্পনা প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছিল বলে জানা যায়।

ইয়োস ফান ব্যুরদেন

 সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও গ্রামীণ মহিলাদের জীবন সংগ্রামের এক অনন্য স্মারক এ গ্রন্থটি। দেশে বিদেশে এমন বিষয়ভিত্তিক অন্যান্য গ্রন্থে  গ্রামীণ মানুষের জীবন ও সংগ্রামের কাহিনি আংশিকভাবে ব্যক্ত হলেও  বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে রচিত ঝগড়াপুরের মত গ্রন্থ সংখ্যা খুব স্বল্প। মূল গ্রন্থটি ইংরেজি ভাষায়। কিন্তু নাম গ্রামবাংলার অত্যন্ত পরিচিত শব্দ “ঝগড়াপুর”।  

          “ঝগড়াপুর” রচনা করেছেন নেদারল্যান্ডের ইয়েনেকা আরেন্স ও ইয়োস ফান ব্যুরদেন দম্পতি। এটি তাদের পিএইচডি’র গবেষণা সন্দর্ভ গ্রন্থ। এ গ্রন্থটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার এন্ড রিসার্চ ডিপার্টমেন্টের সিলেবাসের অন্তর্ভূক্ত আকর গ্রন্থ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ব্রিটিশ কলোনিয়াল এশিয়া ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে এ গ্রন্থটি সিলেবাসভুক্ত বলে জানা যায়। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য নয়, সমাজ, গ্রামীণ অর্থনীতি ও নারীর ভাগ্যোন্নয়নে যারা কাজ করছেন তাদের নিকটও বইটি সমান আদরণীয়।

ইয়েনেকা আরেন্স

গত শতাব্দীর ৭০’র দশকে ইয়েনেকা আরেন্স ও ইয়োস ফান ব্যুরদেন এক সাহসী ও প্রথাবিরোধী গবেষণাকর্মে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। সুদূর নেদারল্যান্ড থেকে এসেছিলেন বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অজোপাড়াগাঁয়ে। এসেছিলেন ১৯৭৩ সালে সদ্য যুদ্ধবিধস্ত গ্রামীণ জনপদ বানিয়াপুকুর নামক গ্রামে। সীমাহীন দারিদ্র, জাতপ্রথা আর নানা কুসংস্কারে জর্জিত একটি গ্রামে অবস্থান করেছিলেন ১৯৭৫ সাল অবধি। উদ্দেশ্য ছিল, বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজ ও শ্রেণিকাঠামো বোঝা ও বিশ্লেষণ করার দুরূহ কর্ম নিয়ে।স্বাধীনতা যুদ্ধোত্তর চরম দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত গ্রামটিতে সে সময় দুর্ভিক্ষের দূর পদধ্বনি শুরু হয়ে গেছে এমন সময়টা গবেষণাগ্রন্থটিতে বক্ষমান। একদিকে, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নকশালপন্থী বিপ্লবী বাহিনি ও জাসদের গণবাহিনী এবং অন্যদিকে, সরকারের রক্ষীবাহিনীর সশস্ত্র রাজনৈতিক ও সন্ত্রাসী বাহিনি। তাদের অপতৎপরতায় এতদাঞ্চলের গ্রামগুলো তখন আতঙ্কে কম্প্রমান জনপদে পরিণত হয়েছিল। এরই মাঝে তরুণ সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ জাতীয় সমাজতন্ত্রের নতুন স্বপ্নে বিভোর। এমন দুঃসময়ে  জীবনবাজি রেখেই ইয়েনেকা আরেন্স ও ইয়োস ফান ব্যুরদেন গবেষণার উদ্দেশ্যে এই গ্রামে পৌঁছেন।

             বাংলাদেশের ওই সময়কার গ্রামসমাজব্যবস্থাকে বোঝার জন্য এই গ্রন্থটির সমকক্ষ দলিল আর একটিও নেই। সমাজবিজ্ঞানে গবেষণার একটি মূল্যবোধ হিসেবে উল্লিখিত দুই গবেষক গ্রামটির প্রকৃত নাম সংগোপন করে  প্রতীকী নাম “ঝগড়াপুর”হিসেবে তুলে ধরেছেন। গবেষণা শেষে ১৯৭৭ সালে “ঝগড়াপুর” নামে গ্রন্থটি প্রকাশ করেন। বিশ্বখ্যাত অ্যামস্টারডাম-বার্মিংহাম প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত এ গ্রন্থটি প্রকাশনার বছরই বেস্ট সেলার গ্রন্থের মর্যাদা পায়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও নৃবিজ্ঞানী সাইমন সরকার রচিত “কৃষিতে নারীর সম্পৃক্ততাঃ পরিবর্তনশীল গ্রামীণ অর্থনীতি” শীর্ষক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন,“ আরেন্স ইয়েনেকা ও ব্যুরদেন ইওস তাদের “ঝগড়াপুর” গ্রন্থে কৃষি ক্ষেত্রে বিরাজমান উৎপাদন পদ্ধতি ও শ্রেণি সংগ্রামের বিষয়টি স্পষ্ট করে তুলে আনার পাশাপাশি কৃষক সমাজে নারী শ্রম, শোষণ ও নারীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন। মেয়েরা দিনের পর দিন কত বেশি ও কত ভারি কাজ করে থাকে। মেয়েদের কাজগুলো ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ এবং এর কোন মজুরী নেই। নারী শোষণকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি হল যৌন শোষণ, অন্যটি অর্থনৈতিক। সমাজে নারীর অবস্থান দুর্বল বলেই তাদের উপর অর্থনৈতিক শোষণ প্রচ্ছন্ন থাকে। তারা অসহায় বলে পীড়নটি বেশি হয়। বইটিতে এসব তথ্যের বৈজ্ঞানিক ব্যাখাও প্রদান করা হয়েছে।”

           পরে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের গণপ্রকাশনী গ্রন্থটি ১৯৮০ সালে বাংলায় অনুবাদ প্রকাশ করেন। ২০ বছর পর আবারও এ ডেনিশ দম্পতি ফিরে আসেন ঝগড়াপুর তথা বানিয়াপুকুর গ্রামে। বিগত বছরে কী কী পরিবর্তন হয়েছে তা নিয়ে আবার গবেষণা শুরু করেন। ২০১১ সাল অবধি ওই গ্রামে কাজ করেন। পরবর্তি গ্রন্থের নাম দেন “উইমেন, ল্যান্ড পাওয়ার ইন বাংলাদেশঃ ঝগড়াপুর রিভিটেড।” এ গ্রন্থটি ২০১৫ সালে ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড প্রকাশ করে।

  'উইমেন, ল্যান্ড অ্যান্ড পাওয়ার ইন বাংলাদেশ :ঝগড়াপুর রিভিজিটেড' বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পাঠক সমাবেশের গুলশান কেন্দ্রে। অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড.মেঘনা গুহঠাকুরতা। অনুষ্ঠানে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “চার দশক আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বইটির প্রথম সংস্করণ প্রকাশ করা হয়। তৎকালীন সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পরামর্শে বইটি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে পাঠানো হয়। এ বইটি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয় তৈরি করেছিলেন। আর এরশাদ এ বইয়ের অনুপ্রেরণায় মেয়েদের শিক্ষাবৃত্তি ও পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছিলেন।”

গবেষণার স্বার্থে ইয়েনেকা আরেন্স ও ইয়োস ফান ব্যুরদেন সেখানকার সব শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে গভীর মমত্বে মিশেছিলেন, প্রত্যেকটি মানুষের সাথে একাকার হয়েছিলেন। গ্রামের প্রায় সকলেই হয়ে উঠেছিলেন তাদের আপনার জন;স্বজন। তাদের অজোপাড়াগাঁয়ে অবস্থানের কাহিনি নিয়ে অনেকের মনে নানা প্রশ্ন রয়েছে, রয়েছে সীমাহীন কৌতুহল।

          কথা হয় বানিয়াপুকুর গ্রামের প্রভাষক নজরুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, “বানিয়াপুকুর গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের ফিল্ডের কোণায় বানিয়াপুকুর ক্লাব ছিল। সেই ক্লাবঘরে ডেনিশ গবেষক দম্পতি থাকতেন। বয়স অল্প হওয়ায় তারা ঠিক কী কাজ করতেন সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছিল না আমাদের। তবে ওই বিদেশি গবেষক দম্পতি শেষ দিকে বাংলায় কথা বলতেন। গ্রামের মানুষের সাথে স্বাভাবিক ও আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। গ্রামের সব বাড়িতেই তাদের অবাধ বিচরণ ছিল। সবচে বেশি সম্পর্ক ছিল এই গ্রামের প্রয়াত স্কুল শিক্ষক গোলজার মাস্টারের সাথে। পরবর্তিতে গবেষক দম্পতি তার বাসায় অবস্থান করতেন। গোলজার মাস্টার ২ বছর আগে মারা গেছেন। তারপর আর গবেষক দম্পতিকে দেখা যায়নি। তিনি আরও বলেন, প্রাইমারি স্কুলের পাশের জমিতে গবেষক দম্পতি আলু ও বরবটি চাষ করতেন। তার আগে গ্রামের কেউ কখনও আলুর চাষ দেখেন নি। ফলে গ্রামের নারী-পুরুষ ভীড় করে আলু চাষ দেখতেন, এমনকি আলু নিয়েও যেতেন।”

বানিয়াপুকুর গ্রামের বাসিন্দা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক  অধ্যাপক হারুন–অর রশিদ জানান, “১৯৭৩ সালে ডেনিশ গবেষক দম্পতি যখন বানিয়াপুকুর প্রথম এসেছিলেন, তখন আমরা কলেজে পড়তাম। ডেনিশ দম্পতি তো আসলেন কিন্তু থাকবেন কোথায়? সাব্যস্ত হল গ্রামের ক্লাবঘরে থাকবেন। তৎকালে ২ কক্ষবিশিষ্ট বানিয়াপুকুর ক্লাব ছিল। প্রশ্ন হল তারা থাকবেন কিন্তু গ্রামের লাভ কী হবে? বিদেশিদের অনেক টাকা আছে। কিন্তু গ্রামের জন্য তো কিছু আদায় করে নিতে হবে? সিদ্ধান্ত হল – ক্লাবঘরের জানালা-দরজা নেই, তা ওই দম্পতি তৈরি করে নেবেন, একটা টেবিল ও কিছু চেয়ার কিনে দেবেন। ডেনিশ দম্পতি সঙ্গে করে দোভাষি হিসেবে রাজশাহীর এক যুবককে নিয়ে গিয়েছিলেন। তখন তারা ঘুর্ণাক্ষরেও বই লেখা বা গবেষণার কথা বলেন নি। বলেছিলেন কয়েক মাস অবস্থান করবেন গ্রামটিতে। ”

          কথা প্রসঙ্গে সত্তরোর্দ্ধ অধ্যাপক ডেনিশ দম্পতি ওই গ্রামে অবস্থানকালে কিছু মজার ঘটনা জানান। তিনি বলেন, “তারা অল্প সময়েই গ্রামের মানুষের সাথে মেশার চেষ্টা করেছিলেন। পশ্চাদপদ বানিয়াপুকুর গ্রামে তো নয়ই, এতদাঞ্চলে রাইচমিল ছিল না। গেরস্থের বাড়ি বাড়ি ঢেকিতে ধান ভানা হত। ডেনিশ দম্পতিও ঢেকিতে পাড় দিয়ে সীমাহীন কষ্টে ধান ভানতেন, জাঁতায় গম পিষে ময়দা তৈরি করতেন রুটি তৈরির জন্য। তখন গ্রামে বর্ষার সময় বেশ অভাব হত। বর্ষায় গ্রামের মানুষ কাউনের (ভুরো) ক্ষির কিংবা ভাত খেতেন। কিন্তু কাউনের (ভুরো) চাল তৈরি করা খুব পরিশ্রমের কাজ। অনেকেই কাউনের চাল সংগ্রহ করে বাড়িতে রান্না করছেন এমন দৃশ্য দেখে ডেনিশ দম্পতিও গ্রাম থেকে কাউন (ভুরো) সংগ্রহ করেন। কিন্তু কী প্রক্রিয়ায় তা থেকে চাল সংগ্রহ করতে হয় তা জানতেন না। ফলে খোশাসহ রান্নার পর তা খেয়ে ভয়াবহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।”

তিনি জানান, “ডেনিশ দম্পতি গ্রামে আলুর চাষ শুরু করেন। আবাদ করে সেই আলু খেতেন। একবার এক গ্রামবাসি দুষ্টুমি করে তাদের বলেন, আপনাদের আলু মাটির নীচে হয় আর আমাদের আলু গাছে ধরে। তিনি ভেটুল গাছে ঝুলতে থাকা ভেটুলকে আলু বলে পরিচিত করান। সরল বিশ্বাসে ডেনিশ দম্পতি সেই ভেটুল সংগ্রহ করে রেঁধে খাওয়ার সময় বুঝতে পারেন যে সেগুলি আলু বা আলু শ্রেণিভূক্ত সবজি না।”

তিনি আরও জানান, বছর খানেক অবস্থানের পর ডেনিশ দম্পতি ধীরে ধীরে বাংলাভাষা রপ্ত করতে থাকেন। ফলে গ্রামবাসির সাথে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হন। সে সময় ইউনিয়ন বোর্ডের সেক্রেটারি কবির হোসেন ও গোলজার মাস্টারের সাথে তাদের খুব ঘনিষ্ঠতা হয়। ১৯৭৫ সালে চলে যাওয়ার পরও প্রতি বছর তারা একবার করে আসতেন। বেশ কয়েক বছর পূর্বে স্বামী ইয়োস ফান ব্যুরদেন মারা যান। তারপর থেকে ইয়েনেকা আরেন্স একাই আসতেন। গত ২ বছর আগে তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গোলজার মাস্টার মারা গেছেন। এই দুই বছর বানিয়াপুকুর গ্রামবাসির অকৃত্রিম স্বজন অ্যারেনা আর আসেননি।”

গাংনী টেকনিক্যাল বিএম কলেজের প্রভাষক ওয়াহীদ বিন হোসেন মিন্টু জানান, “তবে গ্রামবাসির দৃঢ় বিশ্বাস যে তিনি (ইয়েনেকা আরেন্স) বেঁচে থাকলে অবশ্যই বানিয়াপুকুর গ্রামে আসবেন। কারণ এই ঝগড়াপুর (বানিয়াপুকুর) গ্রামটিকে ডেনিশ দম্পতি খুব বেশি ভালোবেসে ফেলেছেন।” 

কৃতজ্জতা স্বীকারঃ ১)আফিল উদ্দীন, আলমডাঙ্গা পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত

শিক্ষক,

২) অধ্যাপক হারুন-অর রশিদ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক – গাংনী সরকারি কলেজ।

৩) প্রভাষক ওয়াহীদ বিন হোসেন মিন্টু-  গাংনী টেকনিক্যাল বিএম কলেজ।

৪) প্রভাষক নজরুল ইসলাম – হারদী এমএস জোহা ডিগ্রী কলেজ।

৫) উজ্জ্বল খন্দকার – কর্মকর্তা, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা।

৬) সোহেল হুদা – সাংবাদিক।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram