২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডাউকি ইউনিয়নে নির্বাচিত চেয়ারম্যানের সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মেরে জখম : পুলিশের গাড়ি ভাংচুর

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
ডিসেম্বর ১, ২০২১
44
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

ডাউকী ইউনিয়নের পরাজিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল হুসাইনের উপর নৃশংস হামলাকারীদের দ্রæত গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে রাতে আলমডাঙ্গা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। এ বিক্ষোভ সমাবেশের পালটা বিক্ষোভ করতে গেলে তরিকুল চেয়ারম্যানের লোকজনের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের সময় তরিকুলের বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা পুলিশের দুটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে।

বিক্ষোভের সামনে নাজমুলের মা


বিজয়ী চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম পক্ষ বুধবার সন্ধ্যায় আতর্কিতে হামলা চালিয়ে নাজমুল হুসাইনকে পিটিয়ে জখম করে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হারদী স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।


গ্রামসূত্রে জানা যায়, ডাউকী ইউনিয়নের পরাজিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল হুসাইন বুধবার সন্ধ্যায় নিজ গ্রাম ডাউকী স্কুল মাঠে বসে ছিলেন। সে সময় নৌকা প্রতীকের বিজয়ী চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলামের লোকজন আকস্মিক হামলা চালায়।

লাঠির আঘাতে নাজমুল রক্তাক্ত জখম হন। তাকে উদ্ধার করে গ্রামবাসী প্রথমে হারদী স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। রাতেই নাজমুল হুসাইনকে হারদী স্বাস্থ কমপ্লেক্স থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।


নিরীহ ছেলে হিসেবে পরিচিত নাজমুল হুসাইনকে নির্বাচনোত্তর মেরে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে ডাউকী গ্রামবাসী। আহত নাজমুল হুসাইনের মাকে সামনে নিয়ে গ্রামবাসীরা এবং উপজেলা ও পৌর সেচ্ছাসেবকলীগের নেতারা আলমডাঙ্গা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে বক্তারা নৌকা প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থী তরিকুল ইসলামের দ্রæত গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।


এদিকে, নাজমুল হুসাইনের সমর্থকদের বিক্ষোভ মিছিল করার সংবাদ পেয়ে তরিকুল ইসলামের লোকজন শহরে পালটা বিক্ষোভ করার প্রস্তুতি নেয়। তারা হাউসপুর এলাকায় অবস্থান নেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে বিক্ষোভ মিছিল করতে বাঁধা দেয়। এ সময় পুলিশের সাথে তরিকুল পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারা এস আই শরিয়ত উল্লাহ ও এএসআই শরিফুলের দুটি পালসার মোটরসাইকেল ভেংগে দেয়। পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।

পুলিশের মোটরসাইকেল ভাংচুর


এলাকাসূত্রে জানা গেছে, এ হামলা ঘটনার পূর্বে দুপুরে স্কুল ছুটির সময় ডাউকী গ্রামের সাজেদুর রহমান রকির বোনকে একই গ্রামের হাঁসান উত্যক্ত করে। এ কথা জানার পর রকি হাসানকে কিল থাপ্পুড় মারে। মার খেয়ে হাসান তরিকুল ইসলামকে জানান যে, নৌকার ভোট করে আমরা কেন মার খেলাম? এ মারের ঘটনার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নাজমুল হুসাইনের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।


আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, কর্তব্যরত পুলিশের উপর তরিকুল চেয়ারম্যান পক্ষ হামলা চালায়। তারা পুলিশের দুটি মোটরসাইকেল ও দুটি পাবলিকের মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram