২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহ নার্স ও কর্মচারীর বিয়ে নিয়ে অদ্ভুত কান্ডে হিন্দু ও মুসলিম সমাজে চলছে হৈ চৈ!

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
ডিসেম্বর ১২, ২০২১
22
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- হিন্দু থেকে মুসলিম হয়ে খলিল নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিল মুক্তি দেবনাথ। বিয়ে করার সময় মুক্তি দেবনাথের শিশু কন্যা বিদ্যাজিৎ সরকার থেকে যায় সাবেক স্বামী বিশ^জিৎ সরকারের কাছে। মেয়েকে ফিরে পেতে আবার নাটক সাজায় মুক্তি দেবনাথ। মুসলিম স্বামী খলিলুর রহমানকে তালাক দিয়ে আবারো হিন্দু স্বামীর কাছে ফিরে যায়।

এরপর কৌশলে একমাত্র মেয়ে বিদ্যাজিৎ সরকারকে নিয়ে আবারো ফিরে আসে খলিলুর রহমানের কাছে এবং স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস করছেন। এমন এক অদ্ভুত বিয়ের কান্ড নিয়ে হিন্দু ও মুসলিম সমাজে হৈ চৈ পড়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ শয্যার ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতালের দুই কর্মচারির মধ্যে। এই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মুক্তি দেবনাথ ও মাস্টার রোলে কর্মরত খলিলুর রহমান দীর্ঘদিন ধরেই পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত।

গত ১০ অক্টোবর জেলা নোটারি পাবলিকের অফিসে উপস্থিত হয়ে ত্যাগ পত্রের মাধ্যমে মুক্তি দেবনাথ তার স্বামী বিশ^জিৎ সরকারকে ত্যাগ করেন। মুক্তি দেবনাথ এরপর ফাতেমা খাতুন মাহি নাম ধারণ করে ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতালে মাস্টার রোলে কর্মরত খলিলুর রহমানকে বিয়ে করেন। এদিকে এই বিয়ে মানতে পারেনি মুক্তি দেব নাথের সাবেক স্বামী বিশ^জিৎ সরকার। তিনি এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানা ও ঝিনাইদহ সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। স্বামী বিশ^জিৎ সরকার দাবী করেন, স্ত্রী মুক্তি দেবনাথকে সরকারী চাকরী দিতে তার সহায় সম্বল শেষ করেছেন।

১০ বছরের সংসার জীবনে তার স্ত্রীর পেছনে ব্যায় হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এই অবস্থায় স্ত্রী তাকে ছেড়ে যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছেন। বিশ^জিৎ সরকার তার শিশু কন্যা বিদ্যাজিৎ সরকারকে ফেরৎ চেয়েছেন। কারণ ওই দম্পতির কাছে তার শিশু কন্যা নিরাপদ নই বলে তিনি মনে করেন। এই বয়ে নিয়ে মুক্তি দেবনাথ জানান, সেকেন্ড ক্লাস অফিসার। বুঝে শুনেই হিন্দু থেকে মুসলিম হয়েছেন। তিনি দাবী করেন, যে মাওলানা প্রথমে বিয়ে ও তালাক করিয়েছিলেন আবার সেই মাওলানায় তাদের দ্বিতীয়বার বিয়ে পড়িয়েছেন। তাছাড়া তার বর্তমান স্বামীও একজন মাদ্রাসার ছাত্র বলে দাবী করেন।

বিষয়টি নিয়ে মাস্টার রোলে কর্মরত খলিলুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, তিনি ইসলামী শরা শরীয়ত মেনেই বিয়ে করেছেন। হিন্দু নারীকে মুসলিম করে বিয়ে করা তো অবৈধ কিছু নয় ? হিন্দু থেকে মুসলিম ও পরে আবার মুসলিম সেই স্বামীকে তালাক দিয়ে তার সঙ্গে আবার বিয়ে বৈধ কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি দাবী করেন, কাজী অফিসের মাওলানা তো বৈধ বলেই আবার বিয়ে পড়িয়েছেন। তাছাড়া আমিও একজন মাদ্রাসার ছাত্র। বিষয়টি নিয়ে ২৫ শয্যার ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতালের ইনচার্জ ডাঃ জামিল হায়দার বলেন, বিষয়টি যদিও আমাদের অফিসিয়ালি কোন ব্যাপার নয়, তবুও পরকীয়া করে বিয়ের কারণে হাসপাতালের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। মিডিয়াসহ নানা প্রকৃতির মানুষ এ নিয়ে সমালোচনার সুযোগ পাচ্ছে। এতে প্রতিষ্ঠানসহ আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram