২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ মহাসড়কে পিচের পরিবর্তে ইটের সলিং!

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
অক্টোবর ২০, ২০২১
43
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- কালীগঞ্জ ঝিনাইদহ মহাসড়কের বেহাল অংশ যেনতেন ভাবে সংস্কার করা হচ্ছে। সড়কটির অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত পাথরের কুচি ও পিচ দিয়ে সমান করা হচ্ছে। আর যেসব অংশ বেশি খারাপ, বিটুমিন উঠে গেছে, সেখানে ইট বিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে সংস্কার কাজের জন্য মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে সড়কের অবস্থা বেশি খারাপ হয়েছে। সড়কটির খানাখন্দের অংশে ইটের সলিং করে চলাচলের উপযোগী রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সড়কটি দিন রাত সর্বসময় যানবাহন চলচল করে। চালকরা বলছে ভারি যানবাহন ইটের সলিং দিয়ে চলাচল করলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র যোগাযোগ হচ্ছে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-যশোর মহাসড়ক। যশোর বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ঝিনাইদহের ওপর দিয়ে উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন চলাচল করে। মোংলা নৌবন্দর থেকেও মালামাল নিয়ে ট্রাক চালকরা এ জেলার ওপর দিয়েই উত্তরবঙ্গে যান।

এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা, রাজশাহী, যশোর,কুষ্টিয়া,সিলেট,চট্রগ্রাম, ফরিদপুরসহ দেশের প্রতিটি এলাকার চলাচলের একমাত্র সড়ক। এমন কোন যানবাহন নেই যা এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে না। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের সড়কপথে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম মহাসড়ক বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের চলচলে অনুপযোগি হয়ে উঠেছে যশোর-ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ৫২ কিলোমিটার অংশ। মহাসড়কটির অধিকাংশ স্থানে সৃষ্টি হওয়া বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দের কারণে প্রায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের পিরোজপুর, বারোবাজার, কেয়াবাগান, কালীগঞ্জ শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ড, নিমতলা বাসস্ট্যান্ড,সদর উপজেলার বিষয়খালী, চুটলিয়া মোড়, লাউদিয়া, মুজিব চত্বর এবং ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া সড়কের আমতলা, ভাটই বাজার, দুধসর, বড়দাহ চাঁদপুর, গাড়াগঞ্জ, শেখপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দ। এতে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিনই যানজটের পাশাপাশি হচ্ছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। গর্তে পড়ে নষ্ট হচ্ছে যানবাহন। চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রী ও পথচারীরা।

কুষ্টিয়া থেকে কালীগঞ্জের বারোবাজার পর্যন্ত সড়কের সব স্থানে বড় বড় গর্তে পরিনত হয়েছে। যেভাবে সড়ক ভাঙছে তাতে গাড়ি চালানো খুব কষ্ট। ভাঙার কারণে অনেক সময় গাড়ি ভেঙেচুরে পড়ে থাকে। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঝিনাইদহ নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার পারভেজ জানান কালীগঞ্জ থেকে ঝিনাইদহ পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছে। এ সড়কের বরাদ্ধ হয়েছে ১০ কোটি টাকা। অপরদিকে মহেশপুর উপজেলার নুরানিপাড়া থেকে যাদবপুর পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার টেন্ডার হয়েছে ,যার বরাদ্ধ হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা।

মহাসড়কের ওই অংশের কয়েকটি জায়গার বিটুমিন উঠে বেহাল হয়ে যায়। এরপর থেকে অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে মহাসড়কে যোগাযোগব্যবস্থা ঠিক রাখা হয়েছে।সড়ক বিভাগ থেকে মাঝে মধ্যে ইটের সলিং দিয়ে সংস্কার করলেও এক সপ্তাহের মধ্যেই আবারর গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাস রুপসা পরিবহনের চালক শরিফুল ইসলাম জানান, অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে। ভাঙাচোরা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে কোনো কোনো সময় গাড়ি বিকল হয়ে যাচ্ছে। অবশ্য সড়কে যে ইট ও বালি দেওয়া হচ্ছে খুব বেশি উন্নতমানের না। সড়কে পানি জমাট বাধার মধ্যে বালি ফেলে সলিং করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram