২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ঔষধ বিহীন ৪০ মণ ওজনের গরু বীর বাহাদুর: দাম উঠেছে ১৮ লাখ!

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
জুন ২০, ২০২১
52
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


জাহিদুর রহমান তারিক, স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দক্ষীন গোপালপুর গ্রামে প্রায় ৪০ মণ ওজনের ‘বীর বাহাদুর’কে দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমেছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছে ওই বাড়িতে। তার সঙ্গে সেলফি ওঠানোরও হিড়িক চলছে। অনেকে ছবি ফেসবুকে পোস্ট করছেন। ‘বীর বাহাদুর’ ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার দক্ষীন গোপালপুর গ্রামের মৃত. শাবাজ উদ্দিনের ছেলে আতিয়ার রহমানের ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকার পাইকারি গরু ব্যাবসায়িরা ‘বীর বাহাদুর’ ষাড়ের দাম হেঁকেছেন ১৮ লাখ টাকা।

তবে আতিয়ার রহমান বলছেন, ‘বীর বাহাদুর’ ষাড়টিকে ২২ লাখ টাকায় বিক্রির ইচ্ছে আছে তার। আতিয়ার রহমান জানান, ‘বীর বাহাদুর’ আমাদের পরিবার তথা গ্রামের খুব আদরের একটি ষাড়। সেকারনে সবকিছুই আমি নিজ হাতেই করার চেষ্টা করি। খাবার দেওয়া, ময়লা পরিষ্কার, গোসল দেওয়া সবই আমি নিজে করি। তবে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য আমার স্ত্রী জ্যোতি আফরিন রয়েছেন। ‘বীর বাহাদুর’ অনেক বড় হওয়ায় সব কাজ একা করতে পারি না। তাই সব সময় আমার স্ত্রী জ্যোতি আফরিনের সহযোগিতা নিতে হয়। তাদের চিকিৎসা, তাপমাত্রা ঠিক রাখাসহ সর্ব বিষয়ে সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকতে হয়।’

তিনি আরো জানান, তিন বছর আগে ‘বীর বাহাদুর’কে চুয়াডাঙ্গা জেলার ঐতিহ্যবাহি আলমডাঙ্গা বাজার থেকে খরিদ করে নিয়ে আসি। সব সময় পরিমিত খাবার আর যতœ করে ‘বীর বাহাদুর’ ষাঁড়টিকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন তিনি। আতিয়ার রহমান বলেন, ‘বীর বাহাদুর’কে কিনতে পাইকারি গরু ব্যাবসায়িরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ১৮ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন তারা। আমি আরেকটু অপেক্ষা করছি। প্রয়োজনে হাটে উঠাবো এবং ২২ লাখ টাকা দাম চাইবো। সেক্ষেত্রে কিছু কম হলেও বিক্রি করে দেবো। ‘বীর বাহাদুর’ এর পেছনে এখন পর্যন্ত আমার ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন প্রতিদিন ‘বীর বাহাদুর’ এর খাবারের জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় ২ হাজার টাকা করে।’ তাছাড়া ‘বীর বাহাদুর’ এর জন্য আমার নিজ বাড়ির আঙিনায় ১০ কাঠা জমিতে কচি সবুজ ঘাষের চাষ করেছি। সেখান থেকে ঘাষ ও ভূষি মাখিয়ে তাকে খাওয়ানো হয়। তবে ‘বীর বাহাদুর’কে কখনোই মোটা তাঁজা করন খাবার বা ঔষধ প্রয়োগ করিনাই। ওই গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ আহমেদ ও সারজুল ইসলাম জানান, ‘ আতিয়ার রহমান গরুর সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি নাম ধরে ডাক দিলেই গরু বুঝতে পারে। মালিক যে নির্দেশ দেন সেটাই সে পালন করে। এই ‘বীর বাহাদুর’ আমাদের গ্রামকে অনেক এলাকার মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন ‘বীর বাহাদুর’কে দেখতে।’ ঝিনাইদহ শহর থেকে আসা দর্শনার্থী মনিরুল ইসলাম ও তৈয়ব আলী জানান, ‘আমাদের এলাকার অনেকে ‘বীর বাহাদুর’কে দেখে গিয়ে গল্প করছিলেন। এই গল্প শুনে আমিও এসেছি। গরুটি দেখে গরু মনে হয়নি, মনে হয়েছে এটি একটি হাতি। জীবনেও এমন গরু দেখিনি।

’ এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বিশ্বাস জানান, আমি ‘বীর বাহাদুর’ ষাড়টিকে দেখতে গিয়েছিলাম। গরুটির ওজন ৪০ মণের বেশি হবে বলে ধারণা করছি। ঈদ আসতে এখনও কিছুদিন বাকি আছে। এরই মধ্যে আরও কিছু ওজন বাড়বে বলে মনে করছেন তিনি। তাছাড়া আমার জানামতে ‘বীর বাহাদুর’ ষাড়টিকে ঘাষ ও ভূষি মাখিয়ে খাওয়ানো হয়। আমি জানি ‘বীর বাহাদুর’ ষাড়টিকে মোটা তাঁজা করন খাবার বা ঔষধ প্রয়োগ করা হয়নি। উল্লেখ্য যে কেউ আতিয়ার রহমানের ঔষধ বিহীন ‘বীর বাহাদুর’ ষাড়টিকে ক্রয় করতে ০১৭২৫-১৮৩৭৩১ ও ০১৭২৬-৮৭৩৬০৩ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram