ঝিনাইদহের পল্লীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে সুদে টাকা দিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা, জনতার হাতে ধর্ষন চেষ্টাকারি আটক
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের পল্লীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টায়, জনতার হাতে ধর্ষন চেষ্টাকারি আটকের ঘটনা ঘটেছে। সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের বেড়াদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার ভোরে সৌদি প্রবাসী শরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ রোকেয়া বেগম বাড়িতে ঘুমায়ে ছিলেন। তার ছেলে হলিধানী বাজারে চায়ের দোকানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছোট ছেলে ঝন্টু সুযোগ বুঝে রোকেয়ার ঘরে ঢোকে রোকেয়া বেগমকে ধর্ষণ করার জন্য। এসময় রোকেয়ার সাথে ঝন্টুর ধস্তাধস্তির আওয়াজ শুনে কয়েকজন প্রতিবেশি ছুটে আসে।
তখন রোকেয়া ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পায়। এখবরপেয়ে কাতলামারী ক্যাম্পের পুলিশ এসে তাকে ঘর থেকে উদ্ধার করে প্রথমে পুলিশ ক্যাম্পে এবং পরে সদর থানায় প্রেরণ করে। প্রতিবেশি শুকুর, টুলু, বছির ও রোকেয়ার ভাই আশা মেম্বর জানান, লম্পট ঝন্টু গ্রামে সুদে ব্যবস্যা করে। সে রোকেয়াকেউ ৪০ হাজার টাকা সুদে দিয়েছে। বছর পেরতে না পেরতেই নাকি দেড়লক্ষ টাকা হয়েগেছে। আর এই টাকা মাফ করে দেবে বলে সে প্রায়ই রোকেয়ার কাছে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। হঠাৎ আজ শুক্রবার সকাল ভোরে রোকেয়ার ছেলে বাজারে গেলে এই সুযোগে ঝন্টু ধর্ষণের উদ্দেশ্যে রোকের ঘরে ঢোকে।
আমরা রোকেয়ার চিৎকার শুনে ছুটে আসলে দেখতে পায় রোকেয়া এবং ঝন্টু ঘরের ভিতর হাতাহাতি করছে। পরে আমরা রোকেয়াকে উদ্ধার করে ঝন্টুকে সেই ঘরের ভিতর আটকে রাখি এবং পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। প্রবাসীর স্ত্রী রোকেয়া বলেন, তার ছেলে ভোর সকালে হলিধানী বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হবার কিছুক্ষণ পর ঝন্টু আসে তার বাড়িতে। প্রথমে ঝন্টু বলে খালা মেম্বর তোমাকে ডাকছে। আমি তখন তাকে মেম্বর এতো সকালে কি জন্য ডাকছে বললে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঝন্টু ঘরের ভিতর ঢোকে আমাকে জড়িয়ে ধরে।
আমি ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচার জন্য চিৎকার করলে দুইতিনজন প্রতিবেশি ছুটে আসে। তখন তারা আমাকে বের করে ঝন্টুকে আটকে রাখে। আমি আইনানুগ বিচার চাই আমার স্বামী থাকে বিদেশ, আর প্রতিনিয়ত এই ঝন্টু আমার কাছে বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। আজ আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে বের হতে দেখে আমার উপর পশুর মতো ঝাপিয়ে। আমি এই লম্পট ঝন্টুর বিচার চাই।