১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডে (আলমডাঙ্গা) প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে সদস্য প্রার্থীরা

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
অক্টোবর ১৪, ২০২২
30
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আলমডাঙ্গায় চেয়ারম্যান প্রার্খীদের চেয়ে সদস্য প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণায় রয়েছেন এগিয়ে রয়েছেন । বিশেষ করে ২ নং ওয়ার্ড (আলমডাঙ্গা উপজেলায়) কয়েক প্রার্থী চষে বেড়াচ্ছেন উপজেলার এ প্রান্তের ইউনিয়ন থেকে অন্য প্রান্তে। তাঁরা নিজেদের পক্ষে সমর্থন পেতে নির্ঘুম পরিশ্রম করছেন।


নির্বাচনে উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ভোটার হওয়ায় প্রার্থীদের লোক সমাগমে তেমন দেখা মিলছে না। মোবাইলে যোগাযোগ করে প্রার্থীরা এক একজন ভোটারের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। ভোটাররা বিশেষ করে ইউপি সদস্য ভোটারদের চাহিদা বেড়েছে। তারা এবার দেখে শুনে যাচাই-বাছাই করে প্রার্থী নির্বাচন করবেন। উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ১৫ টি ইউনিয়নের একাধিক সদস্যের সাথে কথা বলে এমন ধারনা পাওয়া গেছে।


চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।


এই নির্বাচনে দুই নং ওয়ার্ডের (আলমডাঙ্গা উপজেলা) ভোট অনুষ্ঠিত হবে আলমডাঙ্গা বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ করা হবে।


নির্বাচনে উপজেলা পরিষদ, একটি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছে ২১১টি । এবারের নির্বাচনে এই ওয়ার্ড থেকে সাধারণ সদস্য পদে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা হলেন জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য খলিলুর রহমান, সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান, মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক সদস্য তপন কুমার বিশ্বাস, মোল্লা জাফরউল্লাহ, আলতাব হোসেন ও মজনু রহমান জান্টু। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে লড়ছেন সাবেক সদস্য কাজল রেখা, মনিরা খাতুন,বিথী খাতুন, সামসাদ রানু ও হাসিনা খাতুন।


নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কেউ কেউ কোর কোন প্রার্থীর পক্ষে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। তারা কোন কোন সদস্য প্রার্থীকে নিজেদের কব্জায় রেখে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন বলে গুঞ্জন চলছে ।

তবে এক্ষেত্রে সুচতুর ইউপি সদস্যরা প্রকাশ্যে তাদের নিজ নিজ পরিষদের চেয়ারম্যানদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোট প্রয়োগে ব্যক্তিগত পছন্দকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন বলে একাধিক সদস্য জানিয়েছেন।

তারা বলছেন, চেয়ারম্যানরা যা বলবেন তাই মানতে হবে এমন কোন কথা নেই। যার যাকে পছন্দ তিনি তাকে ভোট দিবেন। এছাড়া কোন কোন চেয়ারম্যানের সাথে তার পরিষদের বেশীরভাগ সদস্যের নানা কারণে দ্ব›দ্ব রয়েছে।

তারা জেলা পরিষদ নির্বাচনে এই দ্বন্দ্বের জেরে চেয়ারম্যানের প্রার্থীকে বাদ দিয়ে নিজের পছন্দের সদস্য প্রার্থীকে বেছে নিবেন বলেও জানান তারা। এদিকে সদস্য পদের নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় খলিলুর রহমান রয়েছেন এগিয়ে। অনেক ভোটারই চাচ্ছেন খলিলুর রহমান পূনরায় নির্বাচিত হয়ে আসুক।

এ বিষয়ে খলিলুর রহমান জানান, আমি জেলা পরিষদেরর নির্বাচিত সদস্য ছিলাম। আমি যে তিনটি ইউনিয়নের দ্বায়িত্বে ছিলাম সেখানে উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড করেছি। এখন নির্বাচিত হতে পারলে উপজেলার সব ইউনিয়নে উন্নয়নকাজ করতে পারবো আশা করি এবারের নির্বাচনেও ভোটাররা আমাকেই বিজয়ী করবেন।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram