গাংনীতে অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
গাংনী প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনীতে অগ্নিকান্ডে ৩ টা তুলার গোডাউন সহ কয়েকটি দোকানের আংশিক পুড়ে গেছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় গাংনী বাজারে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডে তাৎক্ষনিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরপন করা সম্ভব না হলেও অন্তত ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। বামুন্দী ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত ষ্টেশন অফিসার ইছাহাক আলী বলেন,গাংনী বাজারের মনিরুল, জিয়া,সোহাগ বেডিং ও আকমল ষ্টোরের পিছনে গোডাউনে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের কর্মীরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
গাংনী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির অর্থ সম্পাদক তুহিন বলেন, ওয়েলডিংয়ে কাজ করার সময় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। আগুনের তীব্রতা অনেক বেশি ছিলো এ কারনে দ্রত আগুন ছড়িয়ে। স্থানীয় লোকজন,ব্যবসায়ী ও কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছে। এছাড়া পার্শবর্তী বাড়ির লোকজন তাদের আসবাব পত্র সরিয়ে নিতে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে। ফায়ার সার্ভিসের সাথে আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করা গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আসিফ ইকবাল অনিক বলেন,আগুনের লেলিহান শিখা যখন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে তখন স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। তুলার গোডউন থেকে আগুন দ্রত ছড়িয়ে পড়ার কারনে ৩টি গোডাউন ও আকমল ষ্টোরের একটি দোকান পুড়ে যায়। এছাড়া গোডাউনের পার্শে থাকা কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন,গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক,পৌর মেয়র আহমেদ আলী,গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান,পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু,যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন। পৌর মেয়র আহমেদ আলী বলেন,আগুন নিয়ন্ত্রনের জন্য ফায়ার সার্ভিসের পাশপাশি পৌরসভার গাড়ী থেকেও পানি সরবরাহ করা হয়। আগুনে ব্যবসায়ীদের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, ফায়ার সার্ভিস ও আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে কাজ করা সেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় পুলিশের একাধিক টিম কাজ করে। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বিপুল সংখ্য জনতা ভিড় করে। ভিড় সামলাতে পুলিশকেও হিমশিম খেতে হয়।