কালীগঞ্জ মোবারকগঞ্জ রেলস্ট্রেশন মাষ্টারের অফিস কক্ষে প্রবেশ বন্ধ
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ মোবারকগঞ্জ রেলস্ট্রেশন মাষ্টারের অফিস কক্ষে প্রবেশ করতে পারছে না কেউ। এতে করে সাধারন যাত্রীদের মারাতœক সমস্যার সুষ্টি হচ্ছে। স্ট্রেশন মাষ্টোরের অফিসের দরজায় কাঠ দিয়ে সাটানো রয়েছে। কাঠে লেখা রয়েছে থামুন। ফলে কেউ প্রবেশ করতে পারছে তাদের প্রয়োজনীয় কাজের জন্য। সাধারন যাত্রীরা বলছেন এমন অফিস দেশের কোথায় ও দেখা যায় না।
দরজায় থামুন লিখে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দরজাটি খোলা থাকে কিন্তু সামনে সাটানো রয়েছে কাঠ দিয়ে ব্যারিগেট। মোবারকগঞ্জ রেলস্ট্রেশনে যাত্রীদের টিকিট কাটার জন্য তিনটি সারিবদ্ধ করিডোর করা রয়েছে। যাত্রীরা লাইনে দাড়িয়ে টিকিট কাটছে। কিন্তু কেউ তাদের প্রয়োজনীয় কাজের জন্য স্ট্রেশন মাষ্টারের অফিসে প্রবেশ করতে পারছে না। যেহেতু দরজায় সাটানো রয়েছে কাঠের ব্যারিগেট।
এ স্ট্রেশনের সড়ক দিয়ে প্রতিদিন খুলনা, ঢাকা, পুড়াদহ,ঈশ^রদি,কুষ্টিয়া, রাজশাহীসহ বিভিন্ন রুটে আপ ও ডাউন মিলিয়ে গড়ে ৩০টি ট্রেন যাতায়াত করে প্রতিদিন। বৃহস্পতিবার বিকালে স্ট্রেশনে গিয়ে ঐ চিত্র দেখা মেলে, কিন্তু এলাকাবাসি যাত্রী, ব্যবসায়িরা অভিযোগসহকারে বলছেন ষ্ট্রেশন মাষ্টারের অফিসে কেউ প্রবেশ করতে পারে না। প্রায় ৩ মাস এভাবে থামুন লিখে দরজার মাঝে কাঠ সাটানো রয়েছে।
শুধু মাত্র মোবারকগঞ্জ রেলস্ট্রেশনের কর্মরত ব্যাক্তি ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারে না মাষ্টারের অফিস কক্ষে। যাত্রীরা টিকিট কাটার জন্য লাইনে অনেকেই দাড়িয়ে কিন্তু কেউ বা ষ্ট্রেশন মাষ্টারের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে ও পারছে না। যাত্রীরা স্ট্রেশন মাষ্টারের অফিসের দরজার সামনে গিয়ে সাটানো কাঠে থামুন লিখা দেখে ফিরে যাচ্ছে। আবার অনেকে কথা বলার চেষ্টা করে ও ব্যার্থ হচ্ছে। ভিতরে বসা কর্মরতরা বলছেন সামনে টিকিট কাউন্টারে যান।
সারা দেশে প্রতিটি অফিস এখন উন্মুক্ত ভাবে খোলা ও অফিসের কাজ চলছে। সেখানে মোবারকগঞ্জ রেলস্টেশনের এমনটির রহস্যের কারন কি? এ ব্যাপারে স্ট্রেশন মাষ্টার শাহাজান আলীর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্তের ভয়ে ও অফিসের কাজের বিঘœ সুষ্টি হবে এ কারনে দরজায় কাঠের ব্যারিগেট করে রাখা হয়েছে। এছাড়া নাকি যশোর ও কোটচাদপুরে এভাবে দরজায় ব্যারিগেট করে রাখা হয়েছে।