২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে ৪০ বিঘা জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ করে সফল চাষি সুরত আলী

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
জুন ২৭, ২০২১
82
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- সুরত আলী নামে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের এক ফলচাষি চাষ শুরুর মাত্র ৪ বছরে পেয়েছেন সফলতা। তিনি জেলার কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন শিবনগর গ্রামের মৃত মনিরুদ্দীন মন্ডলের ছেলে। বর্তমানে তিনি ৪০ বিঘা জমিতে দেশি বিদেশি ফলের চাষ করছেন। সুরত আলী বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল ড্রাগনসহ বিদেশি ফলের এক বাগান গড়ে তুলব। তাই ২০০৭ সালের অক্টোবরে এক একর জমিতে ড্রাগনের চাষ করি। মাত্র এক বছরের মাথায় স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়। সফলতা আসতে শুরু করে।

দ্বিতীয় বছর অনেক বেশি ফল আসে, যা বিক্রি করে বেশ লাভ হয়। ফলে এ চাষ আরও বৃদ্ধি করি। বর্তমানে প্রায় ৪০ বিঘা জমিতে ভিয়েতনামের শরিফা, সৌদি খেজুর, কফি, অ্যাভোকাডো, মালটা, বিভিন্ন দেশি-বিদেশি আম ও উন্নত জাতের লিচুর চাষ করছি। এসব নানা প্রজাতির দেশি-বিদেশি ফলের সমন্বয়ে গড়ে তুলেছি বাণিজ্যিক ফলের বাগান। যেখানে প্রতিদিন ২০ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। বাগান থেকে বছরে খরচ বাদে আমার লাভ হয় প্রায় দেড় কোটি টাকা।’ পৌর এলাকার শিবনগর দাসপাড়ার মাঠে কৃষি খামারটি।

খামারে ড্রাগন, আম, লিচু, পেয়ারা, খেজুর, লটকন, নারিকেল, রামবুটান প্রবৃতি ফলের বিভিন্ন জাতের গাছ রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ ধরনের ড্রাগনসহ হিমসাগর, ল্যাংড়া, আমরুপালি, মোজাফফর লিচু, টিস্যুকালচার খোরমা খেজুর, থাইল্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের পেয়ারা, সিডলেস পেয়ারা ও টিস্যুকালসার নারিকেল গাছ রয়েছে। দেশি ফল চাষে খরচ কম। স্বল্পসময়ে খরচের টাকা উঠিয়ে লাভের মুখ দেখা যায়। কিন্তু বিদেশি ফল চাষে সময় লাগে বেশি, খরচও বেশি। তবে ঝুঁকি নিয়ে চাষ শুরু করেন তিনি। গাছে ফল আসতে শুরু করায় এখন তিনি আশাবাদী।

এ-জাতীয় ফলের চাষ শুরু করতে তাকে উদ্বুদ্ধ করেছেন তারই ভাগ্নে কৃষিবিদ ড. রুস্তম আলী। ড. রুস্তম ঢাকার একটি নার্সারি থেকে বিদেশি জাতের এ ফলের চারা তাকে সরবরাহ করেন। ব্যতিক্রমী এ ফলের চাষ সম্পর্কিত সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ তিনিই দিচ্ছেন। রুস্তম আলীর আর্থিক সহযোগিতা ও কৃষি পরামর্শে তার এ খামার এখন লাভজনক পর্যায়ে পৌঁছাতে যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

সুরত আলীর দৃষ্টিনন্দন এই বাগান প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে কৃষি কর্মকর্তারা পরিদর্শন করছেন। কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস কর্মকর্তা শিকদার মো. মোহায়মেন আক্তার জানান, সুরত আলীর ফল চাষ পদ্ধতি প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি আরও জানান, ক্যাকটাস গোত্রের এই ফলের গাছ দেখে সবাই একে সবুজ ক্যাকটাস বলেই মনে করেন। সাধারণত মধ্য আমেরিকায় এ ফল বেশি পাওয়া যায়। ড্রাগন ফল দেখতেও খুব আকর্ষণীয়। এর স্বাদ হালকা মিষ্টি।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram