১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাতারের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ মানতে নারাজ সৌদি জোট

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
নভেম্বর ১৫, ২০২০
31
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

মাসুদ রানা,সৌদি আরব প্রতিনিধিঃকাতারের ওপর সৌদি নেতৃত্বাধীন কয়েকটি দেশের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতিসংঘ। সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, বাহরাইন এবং মিসর কয়েক বছর ধরে এই নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ অ্যালেনা ডুহান এক প্রতিবেদনে লিখেছেন, আঞ্চলিক ঝামেলার জেরে কাতারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমিরাত, মিসর, সৌদি আরব ও বাহরাইন।

এই চার দেশ অবশ্য দাবি করে কাতার সন্ত্রাসবাদের সমর্থক এবং ইরানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ; যে কারণে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করে দেয়া হয়েছে।কিন্তু জাতিসংঘের এই বিশেষজ্ঞ বলছেন, মানুষের মানবাধিকার হরণ করে কোনও সরকারকে শিক্ষা দেয়ার নীতি ঠিক নয়। অ্যালেনা ডুহান বলেছেন, এভাবে সম্পর্কচ্ছেদ করার কোনও যৌক্তিক কারণ নেই। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে কাতারের মানুষের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা জারির পরই ওই চারটি দেশ কাতারের সব নাগরিককে নিজেদের দেশ থেকে বহিষ্কার করে। এর ফলে বহিষ্কার হওয়া মানুষেরা শুধু কাজ হারিয়েছেন তাই নয়; বরং তাদের পারিবারিক সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়েছে।

এটি সরাসরি মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়েকাতার শুরু থেকেই বলে আসছে, তারা সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন ও জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয় না। কিন্তু সৌদি নেতৃত্বাধীন দেশগুলো সন্ত্রাসবাদে সমর্থন এবং অর্থায়নের অভিযোগ এনে কাতারের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সেই সময় ওই চার দেশ জানিয়েছিল, কাতার ১০ দফা শর্ত মানলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে। কিন্তু কাতার তা মানতে চায়নি। দাবিগুলোর মধ্যে ছিল, কাতারের সংবাদসংস্থাকে বন্ধ করে দিতে হবে।

জাতিসং ঘের বিশেষজ্ঞের মতে, এই ধরনের দাবি আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী। তার মতে, কাতার সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসবিরোধী আইনও করেছেজাতিসংঘের এই বিশেষজ্ঞরা এমনিতে স্বাধীনভাবে কাজ করেন এবং তাদের প্রতিবেদন জাতিসংঘের প্রতিবেদন নয়। তবে জাতিসংঘ এই প্রতিবেদন ব্যবহার করতে পারে। এই প্রতিবেদনটি ২০২১ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে উপস্থাপন করা হতে পারে। অতীতে এই বিরোধ মেটানোর কিছু চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি। কাতার জানিয়েছে, তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে রাজি। কিন্তু মনে রাখতে হবে, কাতারের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো আপোস করা হবে না

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram