১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এখনও আলমডাঙ্গার ব্যাডমিন্টন মাঠে র‍্যাকেট হাতে দ্যূতি ছড়াচ্ছেন বিদ্যুৎ

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
37
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

উজ্জ্বল খন্দকার: বিদ্যুৎ চমকের মত অমিত তেজে জ্বলে উঠেন তিনি র‍্যাকেট হাতে ৪৪/ ২০ ফুট ব্যাডমিন্টন কোর্টে। কোর্টে র‍্যাকেট হাতে তার অবিরাম প্রজাপতি নৃত্যে সীমাহীন আমোদিত হয়ে উঠেন দর্শক। মুহুর্মুহু করতালিতে দর্শকরা মাতিয়ে রাখেন আলমডাঙ্গার ব্যাডমিন্টন কোর্টগুলি।

যার কথা বলছিলাম তিনি গোলাম মুক্তাদির বিদ্যুৎ। আলমডাঙ্গার অতি পরিচিত মুখ। জনপ্রিয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ও রেডিমেট পোষাক ব্যাবসায়ী। বয়স যখন মাত্র ১৪ বছর সেই স্পর্ধিত কৈশরেই তিনি আলমডাঙ্গার ব্যাডমিন্টন জগতে আলোচিত খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে চিহ্নিত করাতে সক্ষম হন।

‘৮০-‘৯০ দশকে আলমডাঙ্গার সিনিয়র দক্ষ ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়দের সাথে সমান দক্ষতায় প্রতিযোগিতায় নেমেছেন আলমডাঙ্গা বিদ্যুৎ অফিস মাঠে, উপজেলা চত্বর মাঠে , পরিবার পরিকল্পনা অফিস চত্তরে, থানা চত্বর মাঠে। অল্প সময়েই তার ক্রীড়া নৈপুণ্যের সংবাদ এলাকার আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। সেই সুবাধে বিভিন্ন স্থানে টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহণ করে শিরোপা জয় করে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেন।

এ সব খেলাতে তিনি প্রচুর সুনাম অর্জন করেন। খেলার প্রতি অনিরুদ্ধ আকর্ষণ তাকে মধ্য যৌবনেও খেলার মাঠ থেকে বিরত করতে পারেনি। বয়সে অপেক্ষাকৃত তরুণদের সাথে সমান দক্ষতায় এখনও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন।  

সদালাপী বিদ্যুৎ বলেন, ”কিশোর বয়স হতে তৎকালীন এলাকার কৃতি ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় আবুল কালাম আজাদ (বেল্টু),প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক রবিউল ইসলাম, শিক্ষক ওমর, শরিফুল ইসলাম, মীর লাল্টু,শরিফ,কাদের,রবিউল,সাগর,সাজন এসমস্ত খেলোয়াড়দের সাথে প্রাকটিচ সহ মাঝে মধ্যে নিজেদের মধ্য প্রতিদ্ব›িদ্বতা মূলক ম্যাচ খেলে নিজেকে প্রস্তুত করে রাখতাম।

খেলার মৌসুমে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরের গাংনি, কুস্টিয়া, ঝিনাইদহ, ভেড়ামাড়ার দৌলতপুর টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহন করে বিপক্ষ দলকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছি এবং কোন কোন মাঠে আমাকে “ম্যান অব দ্যা ম্যাচ” ঘোষনা করায় পুরুস্কার অর্জন করেছি। বর্তমানে এই ৫১ (একান্ন) বছর বয়সী ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় বর্তমানে আলমডাঙ্গার পরিবার পরিকল্পনা অফিস চত্তর মাঠে সুনামের সহিত শীত মৌসুমে সকলের অনুপ্রেরণায় খেলছে।

এই খেলাকে ভালবাসার খেলাকে ত্যাগ করতে পারে নাই। পারিবারিক জীবন : বিদ্যুতের পিতা, মৃত শমসের আলি (সাবেক সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) , মাতা , মাহামুদা খাতুন গৃহিনী, ০২ বোন ও ছোট ভাই গোলাম মুন্তাকিন (রাজু), সহকারী অধ্যাপক, আলমডাঙ্গা ব্রাইট মডেল স্কুল, । তার স্ত্রী গৃহিনী ও ০২ (দুই)টি কণ্যা সন্তানের জনক। স্থায়ী ঠিকানা : কলেজপাড়া,আলমডাঙ্গা।

প্রাপ্তি : ২০১৩ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়ে একই বছর বগুড়াতে জাতিয় খেলায় চতুর্থ রাউন্ড পর্যন্ত অংশ গ্রহন করে একজন ভাল খেলোয়াড়ের যোগ্যতা অর্জন করেন। সফলতা : বর্তমান প্রজন্মের আলমডাংগার ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় তন্ময়,তোহা সুনাম অক্ষুন্ন রেখে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় মাঠ কাপিয়ে বেড়াচ্ছে পাশাপাশি পুরস্কার জিতে এলাকার সুনাম বয়ে এনেছে তারা বিদ্যুৎ এর কাছ থেকে অনুপ্রেরনা ও দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে ব্যাটমিন্টন খেলায় পারদর্শীতা অর্জন করে আজকের কৃতি খেলোয়াড়।

আশাবাদি : এই ৫১(একান্ন) বছরের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় আশা করেন যে,আলমডাঙ্গাতে একটি ব্যাটমিন্টন ইনডোর স্থাপন হবে এবং এটি তার প্রাণের দাবি। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা ক্রীড়া সংস্থা,সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও এলাকার ক্রীড়া প্রেমী সম্পদশালী ব্যাক্তিগণকে বিণীতভাবে অনুরোধ করেন। আলমডাঙ্গাতে একটি ব্যাটমিন্টন ইনডোর স্থাপন হলে আরও ভালো ভালো ব্যাডটমিন্টন খেলোয়াড় বের হয়ে এলাকার সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে পারবে বলে তিনি আশাবাদি।

বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও ক্রীড়া ব্যাক্তিত্ব আবুল কালাম আজাদ (বেল্টু) প্রতি বিদ্যুৎ জানালেন গভীর কৃতজ্ঞতা । বলেন- বেল্টু ভাই সবসময় আমাদের পাশে থেকে খেলার ব্যাপারে আর্থিক সাহায্যে,অনুপ্রেরণা,শক্তি,মনোবল যোগানোসহ সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। আরও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মোঃ মনিরুজ্জামান (মনি), শিক্ষক মোঃ হারেজ উদ্দিন,হায়দার সরোয়ার ও অসংখ্য বন্ধু,গুণগ্রাহি আত্মিয় স্বজন , প্রতিবেশী ও এলাকার সমস্ত সাংবাদিকের প্রতি।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram