১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপমহা‌দে‌শের একমাত্র দোতলা স্টেশন আলমডাঙ্গায় সীমান্ত এক্সপ্রেসের যাত্রা বিরতি

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
জুন ৯, ২০২১
41
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলেছে আলমডাঙ্গা এলাকাবাসীর। ৯ জুন সীমান্ত এক্সপ্রেস উপমহাদেশের একমাত্র দোতলা স্টেশন আলমডাঙ্গায় যাত্রা বিরতির সংবাদে এলাকার মানুষ যারপরনাই উল্লসিত।


জানা যায়, ভারতের হাওড়া থেকে কুষ্টিয়ার জগতি অবধি উপমহাদেশের প্রথম রেললাইন স্থাপিত হয় ১৮৬২ সালে। আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন দেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম রেলস্টেশনগুলির একটা। তাছাড়া উপমহাদেশের একমাত্র দোতলা স্টেশন। আলমডাঙ্গা উপজেলাসহ আশপাশের মিরপুর, কুষ্টিয়ার ইবি থানা, গাংনী উপজেলা ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার মানুষ ঐতিহ্যবাহী আলমডাঙ্গা স্টেশন ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন।


জনপ্রিয় আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেসটির আলমডাঙ্গায় যাত্রা বিরতির দাবি দীর্ঘদিনের। আলমডাঙ্গার মানুষ দীর্ঘ বছর ধরে এ দাবিতে সোচ্চার ছিল। এলাকাবাসির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রাদান করা হয়েছে এ দাবির সমর্থনে। এ দাবি বাস্তবায়নে একাধিবার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে। বেশ কয়েক বছর পূর্বে আলমডাঙ্গা পৌরসভার তৎকালীন মেয়র মীর মহিউদ্দীন অনেক চেষ্টা তদবির করেও আলমডাঙ্গায় সীমান্ত এক্সপ্রেসের স্টপেজের দাবি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।


এরই মধ্যে গত ৭ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজশাহী অফিসের চিফ অপারেটিং সুপারেন্টেন্ডেন্ট (পশ্চিম) আলমডাঙ্গা স্টেশনে আন্তনগর সীমান্ত এক্সপ্রেসের যাত্রা বিরতির ঘোষণা সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। রাজশাহী রেলওয়ের (পি)(পশ্চিম)’র সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারেন্টেন্ডেন্ট আব্দুল আওয়াল স্বাক্ষরিতে ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ৯ জুন থেকে খুলনা –চিলাহাটি-খুলনা রুটে চলাচলকারি আন্তনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস আলমডাঙ্গায় যাত্রা বিরতি প্রদান করা হল। খুলনার উদ্দেশ্যে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি আলমডাঙ্গায় যাত্রা বিরতি করবে ১টা ৬ মিনিটে। খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামি সীমান্ত এক্সপ্রেস আলমডাঙ্গা স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে রাত ১২টা ১১ মিনিটে। চিলাহাটি থেকে খুলনা রুটে নতুন করে চলাচলের জন্য লক্কড় ঝক্কড় সীমান্ত এক্সপ্রেসটির কোচগুলি পরিবর্তন করা হয়েছে।

এ ট্রেনের সাধারণ কোচগুলি পরিবর্তন করে ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা সাদা রঙের কোচ সংযোজন করা হচ্ছে। ১২টি কোচ নিয়ে ওই ট্রেন বহর চলবে এ রুটে। ট্রেন দুটিতে রাত্রিকালীন আসন সংখ্যা ৮৬৫ ও দিনে ৮৯০টি। তার মধ্যে রাতে তাপানুকুল ২৩টি শয়নাসন ( বাথ) ও ৮০টি চেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram