উদয়পুর মসজিদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ মীমাংসা করলেন থানা অফিসার ইনচার্জ
আলমডাঙ্গার উদয়পুর মসজিদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ মীমাংসা করলেন থানা অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পূর্বে গ্রামবাসীর সহযোগিতা নিয়ে তিনি বিরোধ মীমাংসা করেন।
জানাগেছে, উপজেলার হারদী ইউনিয়নের উদয়পুর পশ্চিমপাড়ার জামে মসজিদের জায়গা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মালিকানা দাবী নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। প্রায় ৩৬ বছর আগে একই গ্রামের হাবিবুর রহমান মসজিদের নামে ৭ শতক জমি দান করেন। হাবিবুর রহমান মৃত্যুরপর তার ছেলে মসজিদের পাশে থাকা আরও ৮ শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে দেয়। এই জমি রেজিষ্ট্র করে দেওয়ার পর গ্রামের সানোয়ার হোসেনের সাথে কাগজপত্র ভুল বুঝাবুঝি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই মসজিদে দান করা জমির মালিকানা নিয়ে বেশ কয়েকবার আলমডাঙ্গা থানায় ও উদয়পুর গ্রামে শালিস বসে।
একপর্যায়ে গ্রামের মানুষ মসজিদের জমির মালিকানা দাবীর বিষয়টি নিয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের নিকট হাজির হয়। পরে পুলিশ সুপার আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীরকে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। গত ৫ অক্টোবর আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ উদয়পুর গ্রামবাসিসহ মসজিদের জমিদানকারী ও মালিকানা দাবীকারীকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। আলোচনায় উভয়পক্ষকে ১০দিনের সময় দিয়ে আসে। ১০ দিনের সময় শেষে উভয়পক্ষকে নিয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর, পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন স্বপন কুমার দাস, এসআই আমিনুল ইসলাম ১৬ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজের আগে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন।
আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন মসজিদের সভাপতি সানোয়ার হোসেন, হারদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আশিকুজ্জামান অল্টু, সাধারন সম্পাদক আইনাল হক, সহসভাপতি আব্দুল হামিদ, মরহুম হাবিবুর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান, এ্যাড, মকলেচুর রহমান, গ্রামের মেম্বার ফরিদ আলী, মন্ডল, সোহরাব হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, ইসমাঈল হোসেন, শফিউদ্দিন, আকছেদ আলী, মজিবর রহমান, সাইদুর রহমান, আশরাফ আলী, ইমাম ইমদাদুল হক, আব্দুস সাত্তার, মনিরুজ্জান, সাকের আলী, আলাউদ্দিন, মহর আলী, নাসির উদ্দিন, মহি উদ্দিনসহ উদয়পুর গ্রামের কয়েকশ সাধারন মানুষ।