আ.লীগের এক নেতার স্ত্রীকে অন্য নেতার দ্বারা ধর্ষণ
পাবনার এক আওয়ামী লীগ নেতা অপর এক আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং একপর্যায়ে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করেন। এরপর থেকে গৃহবধূর অশ্লীল ছবি প্রচারের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে ধর্ষণ করেন এবং ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
পাবনার চাটমোহরে এক গৃহবধূর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় গোলজার হোসেন (৩৫) নামের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
বুধবার রাতে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত গোলজার নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে ও জোনাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের আব্দুর রহিম দুই বছর আগে ইরাকে পাড়ি জমান। সেখান থেকে তিনি তার স্ত্রীর কাছে নিয়মিত টাকা পাঠাতেন। এরই মধ্যে পার্শ্ববর্তী নাজিরপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা গোলজার হোসেন আব্দুর রহিমের স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং একপর্যায়ে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করেন।
এরপর থেকে গৃহবধূর অশ্লীল ছবি প্রচারের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে ধর্ষণ করেন এবং ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন আওয়ামী লীগ নেতা গোলজার হোসেন।
এক মাস আগে আব্দুর রহিম বাড়ি ফিরে আসেন এবং টাকা-পয়সার হিসাব চান। এমতাবস্থায় তার স্ত্রী জানান, গোলজারের কাছে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা রাখা আছে। আব্দুর রহিম টাকা চাইলে গোলজার তালবাহানা করতে থাকেন। গত ২ অক্টোবর রহিম আবারও টাকা চাইতে গেলে গোলজার গং তাকে মারধর করে আহত করেন। এ নিয়ে থানায় আব্দুর রহিম একটি অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
বুধবার বিকেলে বিষয়টি মীমাংসার জন্য শালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়। শালিসে ওই গৃহবধূ ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ করেন। পরে শালিস ভন্ডুল হয়ে গেলে ওই গৃহবধূ থানায় আওয়ামী লীগ নেতা গোলজার হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ আসামি গোলজার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
জোনাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি তোজাম উদ্দিন গ্রেপ্তারকৃত গোলজার হোসেনের পদবী নিশ্চিত করেছেন।