আলমডাঙ্গা বধ্যভূমি পার্ক নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন এমপি ছেলুন
আজ ১০ ডিসেম্বর আলমডাঙ্গা বধ্যভূমি পার্ক নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করবেন চুয়াডাঙ্গা -১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সকাল ১০টায় তিনি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মিতব্য ওই পার্ক নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা বধ্যভূমির সীমানা প্রাচীর থেকে উত্তর দিকের জান্নাতুল বাকী গোরস্থানের সীমানা অবধি বিস্তৃত হবে নির্মিতব্য পার্কটি।
এদিকে, আলমডাঙ্গা বধ্যভূমি পার্ক নির্মাণের সংবাদে আনন্দিত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখা গেছে অনেককেই। আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার আয়তন অনেক বিস্তৃত হলেও এ শহরে নেই কোন চিত্ত বিনোদনের স্থান। উপজেলার একমাত্র শিশুপার্ক রয়েছে পৌর এলাকার বেশ দূরে মোনাকষা গ্রামে। ক্রমবর্ধমান এ শহরে শিশুসহ নাগরিকের চিত্ত বিনোদনের কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে শ্রদ্ধা ও বেদনায় একাকার এ বধ্যভূমির মনোরম পরিবেশটাকেই তারা চিত্ত বিনোদনের স্থান ভেবে নিয়েছে। ফলশ্রুতিতে, এ পবিত্র স্থানের মর্যাদা অনেক সময় ভূলুণ্ঠিত হয়ে পড়ে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
এ বধ্যভূমির পাশে এ পার্কটি নির্মিত হলে ভবিষ্যতে বধ্যভূমি অবমাননাকর ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে বলেও অনেকে মনে করেন।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী জানান, ক্রমেই আলমডাঙ্গা বধ্যভূমির দর্শনার্থির সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এমন পরিস্থিতে বধ্যভূমির পাশে পার্কটি নির্মিত হলে দর্শনার্থিদের চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা হবে। তাছাড়া, বেশ বড় আয়তনের এ উপজেলায় চিত্তবিনোদনের সুব্যবস্থা নেই। পার্কটি নির্মিত হলে এ অভা পূরণ হবে।
কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টু বলেন, সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির সহযোগিতায় বধ্যভূমির মত এ পার্কটিও নির্মিত হচ্ছে। তার প্রতি আমাদের অবিচল আস্থা রয়েছে। তিনি ইতোপূর্বে আমাদের বধ্যভূমি নির্মাণ করেছেন ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায়। দর্শনার্থিদের নিশ্রামাগার নির্মাণ করেছেন। আমাদের বিশ্বাস তিনি সুদৃশ্য বধ্যভূমি পার্ক নির্মাণের ব্যাপারেও আন্তরিক থাকবেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার গঠণ করলে শুরু হয় বধ্যভূমি নির্মাণের প্রাথমিক কাজ। সে সময় জিকে ক্যানেলের ঢালে বসবাসকারি ছিন্নমুল কয়েকজন মানুষ খুঁড়াখুঁড়ি করার সময় লাশের বহু হাড় মাটির নীচ থেকে বের হতে থাকে। বিষয়টি গোপন থাকে না। সকলে ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। বিষয়টি পত্রিকায় প্রকাশিত হলে মুক্তিযোদ্ধারা দাবি তোলেন এ জায়গাটা সংরক্ষণ করে বধ্যভূমি নির্মাণের। মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকার গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার সাথে সঙ্গতি বিধান করে হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন-এমপি আলমডাঙ্গার বধ্যভূমির স্মারক নির্মাণের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। তার আর্থিক বরাদ্ধে সৌকর্যময় শৈল্পিক সুষমায় বধ্যভূমি নির্মিত হয়েছে। এছাড়া এমপির তত্বাবধানে বধ্যভূমি দর্শনার্থিদের জন্য পৃথক আরেকটি স্থাপনা নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে।