২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গা পৌর শহর সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত হতে চলেছে

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩
24
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

আলমডাঙ্গা পৌর শহর সিসি টিভি ক্যামেরার ( ক্লোজ সার্কিট টিভি ক্যামেরা) আওতাভূক্ত হতে চলেছে। চুয়াডাঙ্গা -১ আসনের সংসদ সদস্যের আর্থিক আনুকুল্যে আলমডাঙ্গা বণিক সমিতি এ শহরটির প্রতিটি ওয়ার্ডের পাড়া- মহল্লা ও বাজারের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ইতোমধ্যে সম্পন্ন হতে চলেছে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ।

ব্রিটিশ -ভারত শাসনামলের পূর্ব থেকেই বৃহত্তর কুষ্টিয়া অঞ্চলে ব্যবসা সফল মফস্বল শহর হিসেবে আলমডাঙ্গা শহর সুবিদিত। উপজেলা শহর হলেও এ মফস্বল শহরটির আয়তনও বেশ প্রশস্ত। স্বাভাবিক কারণেই এ শহরে অসামাজিক ও আইনশৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করা প্রশাসনের পক্ষে প্রায় সময় দুরুহ হয়ে উঠে।

মূলত, ব্যবসাসফল এ মফস্বল শহরকে কঠোর প্রশাসনিক নজরদারিতে আনতে ও শহরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অর্ধশতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করছে বণিক সমিতি।

বণিক সমিতিসূত্রে জানা যায়, শহরের ‍বাসস্ট্যান্ড, স্টেশন এলাকা, নতুন ও পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, পশুহাট, লালব্রীজ এলাকা, আনন্দধাম থেকে লালব্রীজ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মোড়, পুরো হাইরোড, তহবাজার, হলুদপট্টি, গুড়পট্টি, সবজি বাজার, গার্মেন্টস পট্টি, মাছ বাজার, মাংস বাজার, চারতলা মোড়, বধ্যভূমি, হাউসপুর ও স্বর্ণপট্টিসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ দ্রুত শেষ হতে চলেছে।

ক্যামেরাগুলোর কিছু ৫ মেগা পিক্সেল ও বাকীগুলো ২ মেগা পিক্সেলের।
এ ক্যামেরাগুলির মেমোরিতে অনেক দিন পর্যন্ত ভিডিও সংরক্ষণ করা যাবে বলে জাণা গেছে। বিদ্যুৎ না থাকলেও বেশ কিছু সময় ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ক্যামেরার সঙ্গে লাইট সংযুক্ত থাকায় আলোক–স্বল্পতা থাকলেও স্পষ্ট ভিডিও পাওয়া যাবে বলে এ প্রজেক্ট দেখভালকারী সামাজিক ব্যক্তিত্ব চঞ্চল মাহমুদ জানান।

আলমডাঙ্গা শহরকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনতে শুরু থেকেই নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন ও চঞ্চল মাহমুদ। চঞ্চল মাহমুদ বণিক সমিতির কোন পদে না থাকলেও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এ দায়িত্ব স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করছেন। নিয়মিত খোঁজ রাখেন আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির সভাপতি মিলন মিয়া। সার্বিক তত্বাবধান করেন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম।

আলমডাঙ্গা শহরকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার বিষয়ে আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক তাপস রশিদ বলেন, নিঃসন্দেহে এটা একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর ফলে শহর কেন্দ্রিক আপরাধ কমবে। উচ্ছৃঙ্খলদের নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। ইভটিজিং হ্রাস পাবে। শহরের দুটি কলেজসহ প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে যেখানে ইভটিজারদের জটলা হয়, সেসব মোড়ে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশের উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। তারই ধারাবাহিকতায় আলমডাঙ্গা শহরকে সিসিটিভি ক্যামেরার অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এমপির সাথে আলোচনা করে খুব শ্রীঘ্র সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজের প্রকলটি উদ্বোধন করা হবে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, কন্ট্রোল রুমে একাধিক অপারেটর সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। শহরের কোথাও কোনো অসঙ্গতি দেখলে তৎক্ষণাৎ পুলিশের ফোর্স সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।ভূক্ত হতে চলেছে। চুয়াডাঙ্গা -১ আসনের সংসদ সদস্যের আর্থিক আনুকুল্যে আলমডাঙ্গা বণিক সমিতি এ শহরটির প্রতিটি ওয়ার্ডের পাড়া- মহল্লা ও বাজারের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ইতোমধ্যে সম্পন্ন হতে চলেছে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram