আলমডাঙ্গা পৌর নির্বাচনে দলীয় মেয়রপ্রার্থীসহ ৩জন, সংরক্ষি মহিলা ও সাধারন কাউন্সিলর ৪৮ জন
আলমডাঙ্গা পৌর সভা নির্বাচন আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। পৌর সভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৬ হাজার ১শ ৩৯ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ১৩ হাজার ৫শ ৫৮ জন ও পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ৫শ ৮১ জন। ২৭ জানুয়ারী ছিল আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে প্রর্থীদের প্রতীক বরাদ্ধের দিন। সকাল থেকেই আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন অফিস ও সহকারী রির্টানিং অফিসারের অফিসে প্রার্থীরা তাদের কাঙ্খিত প্রতীক নেওয়ার জন্য ভীড় জমায়। আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনিত ২ জনসহ মেয়র পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন । ৯টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১২ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই আলমডাঙ্গা শহর মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা শুরু হয়েছে।
আলমডাঙ্গা পৌর নির্বাচনে আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ৩ বারের নির্বাচিত পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু ২ বারের মত আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। সকাল সাড়ে টার দিকে আওয়ামীলীগের দলীয় মেয়র প্রার্থী হাসান কাদির গনু জেলা নির্বাচন অফিসার ও আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনের রিটানিং অফিসার তারেক আহমেদদের হাত থেকে দলীয় নৌকা প্রতীক গ্রহন করেন।
এর আগে আলমডাঙ্গা পৌর সভার ২ বারের নির্বাচিত সাবেক মেয়র জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য আলহাজ¦ মীর মহিউদ্দিন বিএনপির দলীয় ধানের শীষ প্রতিক পেয়েছেন। । সকাল ১০টার দিকে বিএনপির দলীয় মেয়র প্রার্থী আলহাজ¦ মীর মহিউদ্দিন জেলা নির্বাচন অফিসার ও আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনের রিটানিং অফিসার তারেক আহমেদদের হাত থেকে দলীয় ধানের শীষ প্রতীক গ্রহন করেন।
এছাড়ার আলমডাঙ্গা পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী। বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী মোবাইল প্রতীক পেয়েছেন। সকাল ১১ টার দিকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী জেলা নির্বাচন অফিসার ও আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনের রিটানিং অফিসার তারেক আহমেদদের হাত থেকে মোবাইল প্রতীক গ্রহন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রির্টানিং অফিসার এমএজি মোস্তাফা ফেরদৌস।
মহিলা সংরক্ষিত ৩ টি আসনে কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সংরক্ষিত ১,২,৩ নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ২শ ৩৫ জন। এ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কল্পনা খাতুনের প্রতীক চশমা, রুমা খাতুনের প্রতীক জবা ফুল ও শিপ্রা বিশ^াস প্রতীক আনারস নিয়ে ৩ জন প্রার্থী সঙরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দি¦তা করছেন ।
সংরক্ষিত ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডে ভোটার ৯ হাজার ৮শ ৯৮ জন। এ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে রাবেয়া খাতুনের প্রতীক আনারস, রেখা খাতুনের প্রতীক জবা ফুল, সুফিয়া খাতুনের প্রতীক চশমা ও আয়েশা সিদ্দিকার প্রতীক বলপেন নিয়ে ৪ জন প্রার্থী সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দি¦তা করছেন ।
সংরক্ষিত ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে ভোটার ৭ হাজার ৬জন। এ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নুরজাহান খাতুনের প্রতীক টেলিফোন, রীতা খাতুনের প্রতীক জবা ফুল, রসিদা খাতুনের প্রতীক দ্বিতল বাস, আরজিনা খাতুনের প্রতীক আনারস, ও মনোয়ারা খাতুনের প্রতীক চশমা নিয়ে ৫ জন প্রার্থী সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দি¦তা করছেন ।
পৌর নির্বাচনে সাধারন আসনে ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতাকরছেন ।
১ নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৮৩ জন। এ ওয়ার্ডে আলাল উদ্দিনের প্রতীক পানির বোতল, মাসুদ রানা তুহিনের প্রতীক উটপাখি, শরীফুল ইসলামের প্রতীক টেবিল ল্যাম্প, নাহিদ হাসান তমালের প্রতীক পাঞ্জাবি ও মিকাইল হোসেনের প্রতীক ডালিম নিয়ে ১ নং ওয়ার্ডে ৫ জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দি¦তা করছেন ।
২ নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৪শ ৩৫ জন। এ ওয়ার্ডে কাজী আলী আজগর সাচ্চুর প্রতীক উটপাখি ও খন্দকার মজিবুল ইসলামের প্রতীক পানির বোতল নিয়ে ২ নং ওয়ার্ডে ২ জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দি¦তা করছেন।
৩ নং ওয়ার্ডে ভোটার ২ হাজার ৭ শ ১৭ জন। এ ওয়ার্ডে জহুরুল ইসলাম স্বপনের প্রতীক টেবিল ল্যাম্প, দীনেশ কুমার বিশ^াসের প্রতীক উটপাখি ও নওশের আলীর প্রতীক পানির বোতল নিয়ে ৩ জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।
৪ নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৩শ ৪৪ জন। এ ওয়ার্ডে সদর উদ্দিন ভোলার প্রতীক ডালিম, শাহীন রেজার প্রতীক টেবিল ল্যাম্প, আকতারুজ্জামানের প্রতীক পাঞ্জাবি, ইলিয়াস হোসেনের প্রতীক স্ক্রু ড্রাইভার, আলম হোসেনের প্রতীক উটপাখি, কাজী হাবিবুর রহমানের প্রতীক ফাইল কেবিনেট, পরিমল কুমার ঘোষ কালুর প্রতীক পানির বোতল, বিমল কুমার বিশ^াসের প্রতীক ব্রীজ ও জয়নাল আবেদীনের প্রতীক ব্লাক বোর্ড নিয়ে ৯ জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ।
৫ নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৩শ ১৭ জন। এ ওয়ার্ডে আব্দুল গাফফারের প্রতীক উটপাখি, সিরাজুল ইসলামের প্রতীক টেবিল ল্যাম্প, শহিদুল ইসলামের প্রতীক পানির বোতল ও মশিউর রহমানের প্রতীক ডালিম নিয়ে ৪ জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ।
৬ নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ২শ ৩৭ জন। এ ওয়ার্ডে রেজাউল হক তবার প্রতীক উটপাখি, ডালিম হোসেনের প্রতীক ডালিম, আবুল কাশেমের প্রতীক টেবিল ল্যাম্প ও লালন আলীর প্রতীক পানির বোতল নিয়ে ৪ জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ।
৭ নং ওয়ার্ডে ভোটার ২ হাজার ৬শ ২জন। এ ওয়ার্ডে ফারুক হোসেনের প্রতীক টেবিল ল্যাম্প, বাপ্পির প্রতীক উটপাখি, শামীম আশরাফের প্রতীক পানির বোতল ও আসাদুল হকের প্রতীক ডালিম নিয়ে ৪ জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ।
৮ নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ১শ ৪ জন। এ ওয়ার্ডে জাহিদুল ইসলামের প্রতীক উটপাখি, দোলায়ার মোল্লার প্রতীক ডালিম ও আশরাফুল হোসেনের প্রতীক পানির বোতল নিয়ে ৩ জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ।
৯ নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৩শ। এ ওয়ার্ডে মামুন অর রশিদ হাসানের প্রতীক টেবিল ল্যাম্প, সাইফুল মুন্সির প্রতীক উটপাখি নিয়ে ২ জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ।