আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের বিশাল শোডাউন ও মিছিল
আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২৭ জানুয়ারী ছিল মিছিলের শহর। প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই বিকেলে দুই মেয়র প্রার্থী তাঁদের সমর্থকদের বিশাল বহর নিয়ে শোডাউন ও মিছিল করেন। আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে নৌকার প্রতীকের মেয়র প্রার্থী হাসান কাদির গনু ৭/৮শ মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে পৌরসভার পুরো এলাকা প্রদক্ষিন করেন। একই সময়ে মোবাইল প্রতীক পাওয়া স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী হাজার হাজার সমর্থকরা গোবিন্দপুর থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে পৌরসভা এলাকা প্রদক্ষিণ করেন।
আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র হাসান কাদির গনুর সমর্থকেরা বিকেল ৪টায় দিকে শহরের ভীন্ন চারটি স্থানে মোটরসাইকেল নিয়ে সমবেত হতে থাকেন। সরকারী কলেজ মাঠে, দলীয় কার্যালয়ের সামনে, উপজেলার এরশাদ চত্বরে ও ওয়াবদা মাঠে, বিটিম মাঠে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ সমর্থকেরা সমাবেত হতে থাকে। কলেজ চত্তর থেকে হাসান কাদির গনুর নেতৃত্বে মোটরসাইকেলের বহর বের হয়ে এরশাদপুর চাতাল মোড়, আনন্দধাম রোড, হাজী মোড়ে যেতেই এটিম মাঠ থেকে মহিলা কলেজ মোড়ে বিটিম মাঠ থেকে মোটরসাইকেল সমাবেত হওয়া কর্মিরা শো-ডাউনে যুক্তহন। পরে বন্ডবিল, বন্ডবিল গেইট, গোবিন্দপুর, এরশাদপুর, স্বাধীনতা চত্বর হয়ে হাইরোড প্রদক্ষিণ করে সরকারী কলেজে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় নৌকা নৌকা শ্লোগানে শ্লোগানে শহরসহ পৌর এলাকা মুখরিত করে তোলে সমর্থকেরা।
এরপর পরই মোবাইল প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলীর তার সমর্থকদের বিশাল মিছিল নিয়ে গোবিন্দপুর থেকে শহরের দিকে আসেন। পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে চারতলা মোড় পর্যন্ত সবেদ আলীর হাজারও সমর্থকদের মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠে হাইরোড। অত্যন্ত উৎসব মুখর মিছিলে সবেদ আলীর সমর্থকদের অনেককেই নেচে-গেয়ে সবেদ আলী, সবেদ আলী ও মোবাইল, মোবাইল শ্লোগান তুলতে দেখা যায়।
শোডাউন শেষে সরকারী কলেজ মাঠে দলীয় মেয়রপ্রার্থী হাসান কাদির গনু বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার, আর এই নৌকা প্রতীক উন্নয়নের সরকারের প্রতীক। আলমডাঙ্গা পৌরবাসী গত নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করেছেন এবারও বিজয়ী করবেন। তিনি বলেন, আমি বিজয়ী হলে পৌরসভার বাকি উন্নয়নের কাজ সমাপ্ত করবো ইনশাল্লাহ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী বলেন, দীর্ঘবছর পর গোবিন্দপুর ও নওদাবন্ডবিল গ্রামবাসি একজোট হয়েছে। এখানে আর কারো মধ্যে কোন দ্বিধা-দ্ব›দ্ব নেই। তারা সবাই আমার মোবাইল প্রতীকে ভোট দিতে জোট বেধেছেন। তিনি বলেন, পৌরসভার উন্নয়নের কাজ আমার আমলেই হয়েছে। আমি বিজয়ী হলে আবারও পৌরসভার উন্নয়নে নিজেকে নিবেদিত করবো।