২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গা পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আন্দোলন স্থগিত

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
আগস্ট ৮, ২০২২
79
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

আলমডাঙ্গা পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূরের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেছে। বিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার জন্য প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খানকে দায়ী করে তার অপসারণের দাবীতে ছাত্ররা বিক্ষোভ করে আসছিল । এরই এক পর্যায়ে ৭ আগস্ট রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনরত ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিয়ে তাদের দাবী দত করে দেখার আশ্বাস প্রদান করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।


আলমডাঙ্গা পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্ররা গত শনিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে। তারা বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খানের অপসারণের দাবী করে। বিষয়টি জানার পর পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছাত্রদের সাথে কথা বলে বিষয়টি শুনবেন জানালে ছাত্ররা আন্দোলন আপাতত স্থগিত ঘোষনা করেন। গতকাল রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারি, থানার ওসি তদন্ত আব্দুল আলিম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছাত্রদের উদ্দেশ্য বলেন, তাদের উত্থাপিত অভিযোগ গুলো তিনি তদন্ত করে দেখবেন। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের বিষটি ইতোমধ্যে সকল শিক্ষকের সাথে বসে কথা বলা হয়েছে। আগামী ১০ তারিখে এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষকদের সাথে বসে আলোচনা করা হবে। বিষয়টি প্রমানিত হলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি ছাত্রদেরকে ভবিষ্যতে স্কুল প্রাঙ্গণে এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার আহবান জানান। পরে ছাত্ররা আন্দোলন স্থগিত করে। পরে ছাত্ররা আন্দোলন স্থগিত করে।


উল্লেখ আলমডাঙ্গা পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় শিক্ষকদের সাথে মতভেদের এক পর্যায়ে বিভিন্ন দপ্তরে টাকা দেওয়ার নাম করে সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে রবিউল ইসলাম খান ৯ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে। ওই টাকা কোন দপ্তরে লাগেনি জানার পর স্কুলের সহকারী শিক্ষকরা গত ৩০ জুলাই শনিবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলামের নিকট টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা ফেরৎ নেন। এ টাকা ছাড়াও শিক্ষকরা অভিযোগ করেন করোনাকালীন দুই বছর স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ও পরীক্ষা বাবদ প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা কালেকশন করেন প্রধান শিক্ষক। এসব টাকা তিনি তসরুপ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়। একই সাথে প্রতি মাসে স্কুলের দোকান ভাড়া ৩৭ হাজার টাকারও কোন হদিস নেই বলে জানান শিক্ষকরা। তবে প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান এসব অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবী করে আসছেন।


এ ঘটরার কয়েকদিন পর গত শনিবার বিদ্যালয়ের ছাত্ররা স্কুলের কম্পিউটার ল্যাবে টাকা নিলেও ক্লাস না নেওয়া, টয়লেট অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন ও নিম্নমানের সিট বেঞ্চসহ নানা অভিযোগ তুলে শনিবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। সংবাদ পেয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুসা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। তিনি জানান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার তোমাদের সাথে বসে বিষয়টি সুরাহা করবেন। পরে ছাত্ররা তাদের আন্দোলন স্থগিত করে।


সেই ঘোষনা অনুযায়ী গতকাল রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর শিক্ষার্থীদের সাথে সাক্ষাত করে এসব কথা জানালে পরিস্থিতি শান্ত হয়

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram