আলমডাঙ্গা পাইকপাড়ার চরপাড়ায় কচু ক্ষেতে ছাগল প্রবেশের জেরে প্রতিবেশিকে হত্যা
আলমডাঙ্গায় কচু ক্ষেতের ভেতর দিয়ে ছাগল নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশি এক কৃষককে মেরে ফেলা হয়েছে। ৫ এপ্রিল সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গার পাইকপাড়া গ্রামের দরিদ্র আনোয়ার হোসেন গ্যাদার স্ত্রী শাহানারা খাতুন ৫ এপ্রিল বেলা ১১ টার দিকে একই গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে রনির কচু ক্ষেতের ভেতর দিয়ে ছাগল নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় রনির ও তার মায়ের সাথে শাহানারা খাতুনের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে রনি ও তার মা ছাগল মালিক শাহানারাকে মারধর করেন।
এ সংবাদ পেয়ে শাহানারা খাতুনের স্বামী আনোয়ার হোসেন গ্যাদা (৫৫) ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সে সময় রনি তাকেও কিল-ঘুষি মেরে এক গাছের সাথে ধাক্কা মারেন। এ সময় তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ওই অবস্থায় আলমডাঙ্গার এক ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গ্রামের অনেকেই জানান, নিহত আনোয়ার হোসেন গ্যাদা হার্টের রোগি ছিলেন।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর বলেন, ক্ষেতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীকে মারধর করা হয়েছে। এ মারধরের ঘটনায় ছাগল মালিক মহিলার স্বামী মারা গেছেন। এ ঘটনায় এখনও মামলা করা হয়নি। মামলা হলে অবশ্যই আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর ও ওসি (অপারেশন ) দেবব্রত রায় ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়।
নিহত আনোয়ার হোসেন গ্যাদার পরিচয়ঃ নিহত আনোয়ার হোসেন গ্যাদা পাইকপাড়া গ্রামের চরপাড়ার মৃত রবজেল আলীর ৫ ছেলের মধ্যে বড়। তিনি ২ কন্যার বাবা ছিলেন। মাঠে নিজের কিছু জমাজমি আছে। নিজের জমাজমি চাষ আবাদ করতেন।
ঘাতক রনির পরিচয়ঃ কুষ্টিয়া জেলার হরিপুরের নূর ইসলাম বাঙ্গালের ছেলে মাদক সেবী রনি (২৮)। রনির বাবা নূর ইসলাম বাঙ্গাল পাইকপাড়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে ঘরজামাই থাকেন। শ্বশুরের নাম শামসের আলী। রনিও নানা বাড়ি বসবাস করেন। আনোয়ার হোসেন গ্যাদা নিহত হলে রনি পরিবারসহ গা-ঢাকা দিয়েছেন।
এ সংবাদ লেখা অবধি থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।