২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের সহায়তায় ৬ দিন পর পরিবারের কাছে ফিরে গেলেন মানসিক ভারমাস্যহীন লিমন

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
অক্টোবর ২০, ২০২১
19
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার ৬দিন পর আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের সহায়তায় পরিবারের কাছে ফিরে গেলেন মানসিক ভারমাস্যহীন লিমন । লিমন ৬ দিন আগে গাংনীর বাওটের নানা বাড়ি থেকে সবার চোখ ফাকি দিয়ে বের হয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জামজামি বাজারে চলে আসে। ১৮ অক্টোবর সোমবার রাত ৮টার সময় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের নির্দেশে লিমনকে উদ্ধার করে জামজামি ক্যাম্প পুলিশ । পরে তার এক খালাতো ভাই রাজ আলীর মাধ্যকে লিমনকে নানী রমেছা খাতুনের কাছে পৌছে দেন।


জানাগেছে, মানসিক প্রতিবন্ধি লিমন ছোট থাকতে তার পিতা গাংনির মানিকদিয়া গ্রামের আমিরুল ইসলাম স্ত্রীকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করে ঢাকায় বসবাস করছেন। এর কিছুদিন পর লিমনের মা লিলি খাতুন গাংনীর মোহাম্মদপুর গ্রামে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। এরপর থেকে লিমন গাংনী উপজেলার বামন্দির বাওট গ্রামে তার নানা মৃত আজিজুল হকের বাড়িতে বড় হতে থাকে। লিমনের লালনপালন করেন নানী রমেছা খাতুন। এখন লিমনের বয়স ১৪ বছর। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে লিমন মানুসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় নানীর কাছেই বসবাস করছিল। গত ৬ দিন আগে সবার চোখ ফাকি দিয়ে লিমন বাড়ি থেকে রেব হয়ে পড়ে।

লিমনের আত্মীয় স্বজনরাও তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোজ করতে থাকেন। পরে লিমন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ১৮ অক্টোবর জামজামি বাজারে এসে পৌছায়। সন্ধ্যার পর তাকে একটি চায়ের দোকানে বসে থাকতে দেখে স্থানীয় জনতা চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের নিকট সংবাদ দেন।

পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জামজামি ক্যাম্প পুলিশের সহায়তায় লিমনকে ওই চায়ের দোকান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তাকে তার পরিচয় জানতে চাইলে সে শুধু বামন্দির নাম বলতে থাকে। এসময় তার ঠিকানা খোঁজ করলে তার খালাতো ভাই বেলগাছী গ্রামের হাবিব মোল্লার ছেলে রাজ আলীর সন্ধান পাওয়া যায়।

পরে জামজামী ক্যাম্প পুলিশ তাকে উদ্ধার করে তার খালাতো ভাই রাজ আলীর মাধ্যমে নানীর নিমট তাকে পৌছে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জামজামী ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক কাসেম আলী বিশ্বাস, এসআই আলী হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স।


লিমনের নানী রমেছা খাতুন মোবাইল ফোনে জানান, লিমনের বয়স যখন ২ বছর তখন তার মাকে তালাক দিয়ে অন্য জায়গায় বিয়ে করে লিমনের বাবা । কিছুদিন পর রিমনে মারও বিয়ে হয়ে যায়। সেই ছোট থেকে লিমনকে আমি মানুষ করছি। প্রায় ৮ বছর ধরে সে মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে বিভিন্ন ডাক্তারে কাছে চিকিৎসা করেও তাকে ভাল করতে পারিনি।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram