২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গা আনন্দধাম হাউসপুর জামে মসজিদের টাকার হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
আগস্ট ২৮, ২০২১
24
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

আলমডাঙ্গা আনন্দধাম হাউসপুর জামে মসজিদের টাকার হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। মসজিদ কমিটির সদস্যরা একই পরিবারের হওয়ায় কেউ কাউকে না মানায় এ উত্তেজনা সৃস্টি হয়। ২৭ আগস্ট জুমআর নামাজের পর ক্যাশিয়ারের নিকট মসজিদের হিসাব চাইলে না দিয়ে চলে যায়। পরে সভাপতি ভাইয়ের সাথে সেক্রেটারী ও ক্যাশিয়ারের হাতাহাতি শুরু হলে পুলিশ গিয়ে শান্ত করে।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গা আন্দধাম ব্রিজের নিকট আনন্দধাম হাউসপুর জামে মসজিদ নামের একটি মসজিদ আছে। এই মসজিদে শুধু হাউসপুর আনন্দধাম এলাকার মুসল্লিরাসহ বিভিন্ন এলাকার যাত্রীরা নামাজ পড়েন। বেশ কিছুদিন ধরে মসজিদ কমিটি সদস্যদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। মসজিদ কমিটির সদস্য একই পরিবারের হওয়ায় কেউ কাউকে মানতে চায় না। তারা একে অপরের নিকট মসজিদের হিসাবও দিতে যায় না। ২৭ আগস্ট শুক্রবার জু‘মআর নামাজের পর সভাপতি জমসেদ আলী মসজিদ কমিটির সকল সদস্যকে ও মুসল্লিদের বসার জন্য অনুরোদ করেন। পরে সেক্রেটারী মনোয়ার হোসেন ও ক্যাশিয়ার আব্দুল হান্নানকে মসজিদের হিসাব বুঝিয়ে দিতে বলেন। কিন্তু ক্যাশিয়ার হিসাব না দিয়ে মসজিদ থেকে বেরিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর সভাপতির ভাই আবদার আলীর সাথে মসজিদের বাইরে রাস্তার উপর সেক্রেটারী ও ক্যাশিয়ারের সাথে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সংবাদ মহল্লায় ছড়িয়ে পড়রে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ গিয়ে উত্তেজনা শান্ত করে। এসময় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী মনোয়ার, ক্যাশিয়ারের পিতা আনসার মন্ডল ও সভাপতির ভাই আবদার আলীকে থানায় নিয়ে আসে। সন্ধ্যায় আনন্দধাম হাউসপুর এলাকার শতাধিক মুসল্লি ও গ্রামের থানা চত্তরে হাজির হয়। এসময় আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর আগামী ৩/৯/২০২১ শুক্রবার বসার সিদ্ধান্ত নেন। পরে দুপুরে উত্তেজনা শান্ত থানা নিয়ে আসা ৩ জনকে মসজিদের মুসল্লি ও এলাকাবাসির সাথে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

সভাপতি জমসেদ আলী বলেন, এই কমিটি হওয়ার পর থেকে সেক্রেটারী ও ক্যাশিয়ার মসজিদের কোন হিসাব দিতে চায় না। এই মসজিদের নামে ব্যাংকে কোন একাউন্ট নেই। মসজিদের যে সকল টাকা পয়সা উঠানো হয় তা ক্যাশিয়ারের কাছেই থাকে। নামাজের আগেই ঈমাম সাহেবকে দিয়ে নামাজ পড়ে বসার জন্য সকলকে অবগতি করেছিলাম। কিন্তু ক্যাশিয়ার ও সেক্রেটারী হিসাব না দিয়ে চলে যায়। পরে আমার ভাইকে মারধর করেছে।

মসজিদের মুসল্লিরা বলেন, আমার সবাই মসজিদের উন্নয়ন করার জন্য টাকা পয়সা দান করি। প্রয়োজন হলে বিভিন্ন মানুষের নিকট থেকে চেয়ে নিয়ে আসি। সেই টাকা কোন হিসাব আমাদেরকে ক্যাশিয়ার দেয় না। মসজিদের সমস্ত টাকার হিসাব বুঝে দেওয়ার জন্য বলেন।

সেক্রেটারী বলেন, তারা মসজিদে মিটিং ডেকেছে আমরা কেউ জানিনা। হঠাৎ মসজিদের টাকার হিসাব চাওয়ায় কাটাকাটির সৃষ্টি হয়।

এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর বলেন, আনন্দধাম হাউসপুর জামে মসজিদের কমিটির সদস্যদের মধ্যে মসজিদের টাকার হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সংবাদ পেয়ে থানা থেকে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার ওই মসজিদে আমি নিজে জুমআর নামাজের আগে উপস্থিত হয়ে সকল মুসল্লিদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram