২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় ১৩ ইউনিয়নে ১৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
নভেম্বর ৩০, ২০২১
25
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

আলমডাঙ্গায় ১৩ ইউনিয়নে ১৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে নৌকা প্রতীকের দুই ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের ৭ প্রার্থী রয়েছেন। গত ২৮ নভেম্বর আলমডাঙ্গা উপজেলার ওই ১৩ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইন অনুযায়ী, নির্বাচনে পড়া মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পাওয়া প্রার্থীদের জামানত স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়।


উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নে মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১৬০৭৫। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন বেলগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সমীর কুমার দে। তিনি পেয়েছেন ১০২ ভোট যা মোট বৈধ ভোটের শতকরা মাত্র ১ ভাগ।


চিৎলা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল বাতেন পেয়েছেন ৮২৭ ভোট যা পোলকৃত মোট বৈধ ভোটের শতকরা ৬ ভাগ। একই ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতীকে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ইমদাদুল হক পেয়েছেন ৬৬৪ ভোট। যা পোল হওয়া মোট বৈধ ভোটের প্রায় ৫ শতাংশ। একই ইউনিয়নে অটোরিকশা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী উজির আলী পেয়েছেন ৪২ ভোট। যা পোল হওয়া মোট বৈধ ভোটের ১ শতাংশের কম।


কালিদাসপুর ইউনিয়নে চশমা প্রতীকে স্বতন্ত্র পরস্পরের আহসান উল্লাহ পেয়েছেন ৬৮০ ভোট। যা পোল হওয়া মোট বৈধ ভোটের প্রায় ৪ শতাংশ।


খাসকররা ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতীকে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আব্বাস উদ্দিন পেয়েছেন ৪১৩ ভোট। যা পোল হওয়া মোট বৈধ ভোটের প্রায় ৩ শতাংশ।


ডাউকি ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাউসার আহমেদ পেয়েছেন ৫৯১ ভোট। যা পোল হওয়া মোট বৈধ ভোটের প্রায় ৪ শতাংশ। একই ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতীকে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুল মজিদ পেয়েছেন ৭৫ ভোট। যা পোল হওয়া মোট বৈধ ভোটের ১ শতাংশের কম। একই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহানুর রহমান চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৫৪ ভোট। যা পোল হওয়া মোট বৈধ ভোটের ১ শতাংশের কম।

হারদী ইউনিয়নে মোট বৈধ ভোট ১৮১৫৯টির মধ্যে মাত্র ৪২৮ ভোট পেয়েছেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিনুল হক। তিনি হাতপাখা প্রতীকে বৈধ ভোটের শতকরা প্রায় ২ ভাগ পেয়েছেন।


ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতীকে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী বিল্লাল হোসেন মাত্র ৭৪ ভোট পেয়েছেন। যা মোট পোলকৃত বৈধ ভোটের ১ শতাংশের নীচে।


বাড়াদী ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশিকুর রহমান পেয়েছেন মাত্র ৫৭০ ভোট। যা পোল হওয়া মোট বৈধ ভোটের ৪ শতাংশ।


জেহালা ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতীকে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ইদ্রিস আলী পেয়েছেন ৩৯০ ভোট। যা পোল হওয়া মোট বৈধ ভোটের প্রায় ৩ শতাংশ।


একই ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান পেয়েছেন ৩৬৩ ভোট। যা পোল হওয়া মোট বৈধ ভোটের প্রায় ৩ শতাংশ।


গাংনী ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতীকে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী নাজিম উদ্দীন ৩১৯ ভোট পেয়েছেন। যা পোল হওয়া মোট বৈধ ভোটের প্রায় ২ শতাংশ। একই ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসলাম মামুন পেয়েছেন ২৭ ভোট। যা পোল হওয়া মোট বৈধ ভোটের ১ শতাংশের কম।


উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এম এ জি মোস্তফা ফেরদৌস জানান, মোট কাস্টিং ভোটের ৮ ভাগের এক অংশের নিচে পেলে যে কোনো প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সেই হিসেবে উপরোক্ত প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram