২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় নতুন এক ভূমিদস্যু চক্রের আবির্ভাব

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
এপ্রিল ১৭, ২০২১
29
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


আলমডাঙ্গা শহরে আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অবৈধভাবে সম্পত্তি আত্মসাতকারী জালিয়াতচক্র। শহরের এক মহুরী কাম জমি পরিমাপকারীর সহযোগিতায় গিরিধারী লাল মোদীর নাম ভাঙ্গিয়ে এ চক্রটির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অপরের সম্পত্তি আত্মসাত করতে নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ইতোপূর্বে ২০১১ সালে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন পাসের গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পর একটি প্রভাবশালী অপচক্র আলমডাঙ্গা শহরের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাত করতে কয়েক কোটি টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নামে। কিন্তু আলমডাঙ্গার কিছু সাহসী ও সচেতন মানুষের আন্দোলনের মুখে ওই অপচক্র ব্যর্থ হয়।

জানা যায়, ২০১১ সালে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন পাসের গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পর একটি প্রভাবশালী অপচক্র আলমডাঙ্গা শহরের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাত করতে কয়েক কোটি টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নামে। কিন্তু আলমডাঙ্গার কিছু সাহসী ও সচেতন মানুষের সর্বাত্মক আন্দোলনের মুখে ওই অপচক্র ব্যর্থ হয়। গত ৯ বছর ধরে এ চক্রটি হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাত করতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভোটার তালিকায় ভারতীয় দুই নাগরিকের নাম উঠায়, ভারতীয় নাগরিকের নামে বিদ্যুত লাইনের সংযোগ নেওয়াসহ নানা অপকর্ম করেও সে সম্পত্তি হাতাতে ব্যর্থ হয়েছে।

সম্প্রতি খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশির দশকে আলমডাঙ্গা ব্যায়ামাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। রীতিমত জমির মালিকের নিকট থেকে জমি কিনে ব্যায়ামাগারের প্রয়াত পরিচালক ইসলাম খানের উদ্যোগে আলমডাঙ্গা ব্যায়ামাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকারি অর্থেই ব্যায়ামাগারের নিজস্ব জমিতে ভবন নির্মিত হয়েছে। এই ব্যায়ামাগারের শিক্ষার্থিরা জাতীয় প্রতিযোগিতা ছাড়াও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সাফাল্য লাভ করে জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছে বিভিন্ন সময়। ব্যায়ামাগারটি রেজিস্ট্রেশন না থাকলেও এটাকে আলমডাঙ্গাবাসি তাদের জাতীয় সম্পদ হিসেবেই মানেন। আজ এত বছর পর এই ব্যায়ামাগারের জমিও আত্মসাত করতে একটি অপচক্র উঠে পড়ে লেগেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ ৯ বছর পর আবার এ চক্রের দাস কয়েকজন ব্যক্তি নতুন করে মাঠে নেমেছে অবৈধভাবে অন্যের সম্পত্তি আত্মসাত করতে। ইতোমধ্যেই এ চক্রের কয়েকজন প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছেন। এদের একজন রাম প্রসাদ আগরওয়ালার ছেলের আশ্রিত নান্টু কুমার ও গিরিধারী লাল মোদীর কর্মচারি সুশীল কুমার। শহরের এক অসৎ ধান্দাবাজ এক দলিল লেখক কাম ভুমি পরিমাপকারি সুধাংশু কুমারের নেতৃত্বে এ চক্রটি তাদের ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে। শহরে জমিজমা সংক্রান্ত যত দুর্নীতি ও অশান্তি বিরাজ করছে, তার অধিকাংশের পেছনে রয়েছে এই ধুরন্ধর দলিল লেখক কাম জমি পরিমাপকারির হাত। এমন মন্তব্য করেছেন সচেতন অনেকেরই।


রাম প্রসাদ আগরওয়ালা নামের এক অবাঙালীর শহরের হাইরোডে একটি দুইতলা বাড়ি রয়েছে। এ বাড়ির সাথে রয়েছে বেশ প্রশস্ত এক খন্ড জমি। জমিসহ বাড়িটি প্রাচীরঘেরা। রাম বাবু প্রয়াত হয়েছেন অনেক আগে। তার ছেলে কানাডা প্রবাসী। দেশে আসেন না বললেই চলে। তাদের বাড়িতে নান্টু কুমার নামের এক আশ্রিত বসবাস করেন সপরিবারে। এই রাম প্রসাদ আগরওয়ালার বাড়ির পেছনে গোবিন্দপুর গ্রামের মকবুল হোসেন বিশ্বাস ও রহমতুল্লাহ বিশ্বাসের ৩০ শতক জমি রয়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলা যখন লাল্টুর প্রতাবে প্রকম্পিত সে সময় লাল্টু বাহিনির কয়েকজন সন্ত্রাসীকে ভাড়া করে গোবিন্দপুর গ্রামের দুই ভাইয়ের কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি জোর করে দখল করে নেওয়া হয়। রামবাবুর চৌহদ্দীর প্রাচীর ভেঙ্গে দুই ভাইয়ের জমিসহ নতুন করে প্রাচীর দিয়ে আটকে রাখা হয়। অনেক দেন দরবার করেও লাভ হয়নি। জমির মালিকদের পক্ষে একাধিকবার রাম প্রসাদ আগরওয়ালার ছেলের সাথে ভিডিও কলে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, “ওই জমি দখলের ঘটনা আমি জানতাম না। আমাদের যতেষ্ঠ জমি আছে। নতুন করে জমির প্রয়োজন নাই। নান্টু আর সুশীল আমাদেরকে না জানিয়েই দখল করেছে। প্রয়োজনে আমি আপনাদের জমি ক্রয় করে নিতে চাচ্ছি।“


বেশ কয়েক বছর ধরে জমি উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়ে শেষে এক তার অংশের মালিক মকবুল বিশ্বাস ১৫ শতক জমি ২০১৬ সালে কম দামে বিক্রি করে দিয়েছেন। বাকী ১৫ শতক জমি রহমতুল্লাহ বিশ্বাস বিক্রি করেন নি। তিনি মারা যাওয়ার পূর্বে তার দুই মেয়ে রাহিমা খাতুন ও নাজমা খাতুনকে রেজিস্ট্রি করে দিয়ে গেছেন। দুই মেয়েকেও এই চক্রটি জমির দখল দিচ্ছে না। কয়েক বছর ধরে নানাভাবে হয়রানি করছেন। মাত্র ২৭ লাখ টাকা নিয়ে বিক্রি করে দিতে প্রস্তাব দিচ্ছেন। নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। নাজমা খাতুনের স্বামী রেজাউল হক জানান, “ আমাদের পরিচিত বা পরিবারের সাথে ভাল সম্পর্ক রয়েছে, এমন ব্যক্তিকে ধরে বিক্রির প্রস্তাব দিচ্ছেন। নানা হুমকি দিচ্ছেন। বলছেন – বাংলাদেশের মালিক এখন মাড়োয়াড়িরা। প্রধানমন্ত্রীর সাথে তাদের সরাসরি সম্পর্ক। তোমরা মুসলমান কখনও ওই জমির দখল পাবে না।“ এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি জমির দখল নিতে রেজাউল হক পক্ষ জমির উপর একটি স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করেন। এঘটনায় নান্টু ও সুশীল আলমডাঙ্গা থানায় ছুটে গেলে থানা পুলিশ উভয়পক্ষকে ডেকে মীমাংসার জন্য বলেছেন। গত ১০/১২ দিন পূর্বে থানায় উভয়পক্ষ হাজির হন। কিন্তু সুশীল-নান্টু জমি নিজেদের দখলে রাখার যুক্তির সপক্ষে কোন দালিলিক ভিত্তি দেখাতে পারেন নি। উপস্থিত অনেকে প্রশ্ন তোলেন- জমি যদি রাম প্রসাদ আগরওয়ালার হবে তাহলে এক ভাইয়ের অর্ধেক অংশ নতুন করে আবার কিনতে গেলেন কেন?


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, একটি শক্তিশালী জালিয়াতচক্রের হয়ে কাজ করছেন সুশীলচক্র। টাকার বিনিময়ে তারা নতুন করে মাঠে নেমেছেন। এ চক্রটিকে প্রায়ই আলমডাঙ্গা ভূমি অফিসে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে আড্ডা দিতে দেখা যায় বলেও অনেকে দাবি করেছেন।


অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ২০১১ পাসের গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পর আলমডাঙ্গা শহরের ৪ হাজার কোটি টাকার ৯ বিঘা ১০ শতক জমি আত্মসাত করতে পুরো প্রশাসন কিনে নেওয়ারও পরিকল্পনা করেন। শুধু তাই নয় মিথ্যা তথ্য দিয়ে কৌশলে ¯’ানীয় নাগরিকত্বের সনদও নিয়েছেন তারা। চুয়াডাঙ্গা অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্তি ট্রাইবুন্যাল বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে জমি পেতে আর্জিও করেছেন।


১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় আলমডাঙ্গা শহরের বহু অবাঙ্গালী ব্যবসায়ি তাদের বাড়ি ঘর, জমি জমা, ব্যবসা বাণিজ্য ফেলে রাতারাতি দেশ ছেড়ে ভারতে পাড়ি জমান। এরাই ছিলেন আলমডাঙ্গা শহরের সবচে’ ধনাঢ্য। তাদের সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি ও পরবর্তীতে অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে রাষ্ট্র অধিগ্রহণ করে। ওই সম্পত্তি কেউ কেউ বিনিময় করতে পারেন। অনেক সম্পত্তি অনেকেই জাল করে ভোগ দখল করছে। সরকারীভাবে অনেক সম্পত্তি (ক তফসিলভুক্ত) লিজ প্রদান করেছেন। এখনও অনেক সম্পত্তি পতিত পড়ে রয়েছে। এদের মধ্যে চুনিলাল পাডিয়া, তার ছেলে প্রহলাদ পাডিয়া, বনছা পাডিয়ার প্রায় ২.৬৭ একরের অধিক সম্পত্তি রয়েছে। এ সম্পত্তি মধ্যে রয়েছে পতিত, ভিটা বাড়ি, মিল ও চাতাল, একাধিক বাড়ি, কর্মচারীদের বাড়ি, পাডিয়া ওয়েল মিলের সম্পত্তি, আড়ৎ ও দোকান ঘর। হুনুমান প্রাসাদ আগরওয়ালা, জোয়ালা প্রাসাদ আগরওয়ালা, মানিয়া আগরওয়ালার, বাড়ি, আড়ৎ, দোকান, গদিঘরসহ প্রায় ৩.৯৫ একর জমি রয়েছে। এছাড়া গংগাধর জালান, তার স্ত্রী রাম কুমারী জালান, কেশরী দেবী, রাম কুমার আগরওয়ালা, অবিনাশ আগরওয়ালা, রামেশ্বর আগরওয়ালা, ভগবান পাডিয়াসহ অনেকের বাড়ি, বর্তমানে আওয়ামীলীগের অফিসের দখলে থাকা পাডিয়া ওয়েল মিলের বিপুল টাকার সম্পত্তি, রথতলার প্রসাদোপম জোড়া কোটা, স্কয়ার কোটা, ওয়েল মিলের কর্মচারীদের একাধিক বাড়ি, গিরিধারী লাল মোদির দখলে থাকা (লিজ মুলে দখল) ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জমিসহ কয়েক শ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে।


অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন পাশ করা হলে ওই অর্পিত সম্পত্তির পূর্ব মালিকের বংশধরদের সুযোগ সৃষ্টি হয়। আলমডাঙ্গার কিছু প্রভাবশালী মতলববাজ উৎসাহিত হয়ে উঠে। তারা অর্পিত সম্পত্তির পূর্ব মালিকের বংশধরদের সাথে যোগাযোগ করে। অল্প টাকায় তারা কৌশলে ওই কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি হস্তগত করে লাভবান হতে চায়। ভারতীয় রাগরিক পুরুষোত্তম পাডিয়া ও রাজারাম পাডিয়াকে আলমডাঙ্গা পৌরসভায় অবৈধভাবে নাগরিক বানায়।

অথচ, দিল্লির জিবি রোডের সুরেখা বিল্ডিংয়ে অনুপ সেলস এন্টারপ্রাইজের মালিক পুরুষোত্তম পাডিয়া ও তার অপর ভাই কলকাতার ২৫/১ সেন্ট্রাল রোডের অনুপ সেল্স এন্টারপ্রাইজের কর্নধার রাজারাম পাডিয়া। সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে তারা ভোটার হয়েছেন। ভারতের বিখ্যাত দুই ব্যবসায়ি হওয়া সত্বেও তারা ভোটার আবেদনপত্রে নিজেদেরকে আলমডাঙ্গার বেসরকারী চাকুরিজীবী হিসেবে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। আলমডাঙ্গা নির্বাচন অফিসার এই অপকর্মে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে আলমডাঙ্গাবাসি। তাদের তোপের মুখে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় দুই ভাইয়ের নাগরিকত্ব বাতিলের সুপারিশ করা হয়।


শুধু তাই নয়, চুয়াডাঙ্গা অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্তি ট্রাইবুন্যাল বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে দরখাস্ত করার সময়ও তারা মিথ্যা ও পৃথক তথ্য দিয়েছেন। সেখানে তারা ঢাকায় ব্যবস্যা ও বসবাস করেন বলে উল্লেখ করেছেন। এমনকি সুনেলাল পাডিয়া ও প্রহল্লাদ পাডিয়া, আইস্তা পাডিয়া বাংলাদেশে বসবাস করাকালীন মৃত্যু হয়েছে বলে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তাও মিথ্যা। তাছাড়া পুর“ষোত্তম ও রাজারাম পাডিয়ারা মাত্র দুই ভাই উল্লেখ করে অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্তি ট্রাইবুন্যালে আবেদন করেছেন। প্রকৃত পক্ষে তারা ৭ ভাই। এরা হলেন কিশোর পাডিয়া, সত্য পাডিয়া, রমেশ পাডিয়া, পুর“ষোত্তম পাডিয়া, রাজারাম পাডিয়া, প্রকাশ পাডিয়া ও লাল্লি পাডিয়া। এদের মধ্যে কিশোর পাডিয়া, রমেশ পাডিয়া ও রাজারাম থাকেন কলকাতা। আর পুরুষোত্তম ও লাল্লি পাডিয়া থাকেন দিল্লি এবং প্রকাশ পাডিয়া বসবাস করেন দক্ষিণভারতে। গত ৯ বছরেও এ চক্রটি কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করতে পারেনি।

আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার বলেন, সচেতন মানুষমাত্র জন্মভূমির প্রতি ইঞ্চি জমিনকে পবিত্র জ্ঞান করেন। অথচ জন্ম ভূমির মাটিকে টি চক্র সব সময় বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়ার সর্বাত্বক অপচেষ্টা করছে, তারা অবশ্যই দেশদ্রোহী, দেশের শত্রæ। তাদের এচক্রান্তকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কারণ এই চক্রান্ত দেশের ভুখন্ডের বির“দ্ধে, দেশের স্বাধীন অস্তিত্বের বির“দ্ধে। এহেন দেশ বিরোধী চক্রান্তের বির“দ্ধে, ¯’ানীয় দেশদ্রোহী অপশক্তির বির“দ্ধে লড়াই করা, তাদেরকে প্রতিরোধ করা আলমডাঙ্গাবাসীর দায়িত্ব। নতুন করে আলমডাঙ্গা ব্যায়ামাগারের সম্পত্তি ও গোবিন্দপুরের দুই বোনের সম্পত্তি আত্মসাতকারিদের বি অপকর্মও সমর্থযোগ্য না। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও বিরোধিতা করি। প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত আছি।


মাসুদ রানা তুহিন বলেন, রাম বাবু কি নান্টু ও সুশীলের আত্মীয়। যে তার নামে তারা জুলুম করে অন্যের সম্পত্তি দখল করেছে। এ কী মগের মুল্লুক? অবশ্যই আমরা ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেব।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram