আলমডাঙ্গায় দীর্ঘদিন আগে চুরি হওয়া ৩টি গরু উদ্ধার করেছে পুলিশ
আলমডাঙ্গার পাইকপাড়া ও রেল জগন্নাথপুর গ্রাম থেকে ২ মাস আগে চুরি যাওয়া ৩টি গরুর সন্ধান মিলেছে। ২৭ সেপ্টেম্বর বিকালে ওই গরু ৩টি আসাননগর গ্রামের পাখিভ্যান চালক আব্দুল মালেক ও তার ছেলে লিটনের গোয়ালে দেখা মেলে। ২ মাস আগে পাইকপাড়া গ্রামের সেলিম হোসেনের ১টি ও ২৮দিন আগে রেল জগন্নাথপুর গ্রামের মিন্টু আলীর ২টি গরু চুরি যায়।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়ার মতিয়ার রহমানের ছেলে সেলিম হোসেন ১টি গাভী গরু ২ মাস আগের একরাতে গোয়ার ঘর থেকে চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। এর ১ মাস পর একই ইউনিয়নের রেলজগন্নাথপুরের আক্কাচ আলীর ছেলে মিন্টুর ২ গরু চুরি করে নিয়ে যায়। এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ও হাটে বাজারে খোজাখুজি করেও গরু ৩টির হদিস মেলেনি। কিন্তু গরুর মালিক দুজন হার ছেড়েদেননি। তারা লোকমারফত জানতে পারেন আসানন্গর গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুল মালেকের গোয়ালে বেশকিছুদিন ধরে গরু ৩টি রাখা হয়েছে। গরুর মালিক গোপনে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান তাদের গরু। এর পরপরই টের পেয়ে আব্দুল মালেক ও তার ছেলে লিটন আলী বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ মালেকের বাড়ি থেকে ৩টি গরু উদ্ধার করে।
আব্দুল মালেক ও লিটনের স্ত্রী জানান, তাদের গরু ৩টি আলমডাঙ্গা পশু হাট থেকে কিনে নিয়ে এসেছে। গাভী গরুটি ঈদের কয়েকদিন পর প্রায় ১ লাখ টাকায় ও বাছুর গরু ২টি ১৯ দিন আগে ৬৬ হাজার টাকায় কিনে নিয়ে আসে। দুটি গরুর হাটের ¯িøপ আসে।
নামপ্রকাশে অনিইচ্ছুক গ্রামবাসির কয়েকজন জানান, মালেক ও তার ছেলে মাঝে মধ্যই দুএকটা গরু কিনে এনেছে নাম করে বাড়িতে রাখে। আবার সুযোগ বুঝে বিক্রিও করে দেয়। এছাড়াও গ্রামের একই পাড়া থেকে বেশ কয়েকমাস করে বাঁশবাগানে বেধে রাখা অবস্থায় ফদিরপুর গ্রামের চুরি হয়ে যাওয়া গরু উদ্ধার করে পুলিশ।