২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষি যন্ত্রপাতির সহায়তায় সমালয়ে চাষাবাদের চারা রোপন উদ্বোধন

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২
23
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

আলমডাঙ্গায় রবি ২০২১/২২ অর্থ বছরেরর কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষি যন্ত্রপাতির সহায়তায় সমালয়ে (synchronize) চাষাবাদের চারা রোপন উদ্বোধন করা হয়েছে। ৪ ফেব্রæয়ারী উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অধিদপ্তরের আয়োজনে যন্ত্রপাতির সহায়তায় সমালয়ে সহায়তায় ধানের চারা রোপন উদ্বোধন করা হয়।

আলমডাঙ্গা ডাউকি ইউনিয়নের মাধবপুর মাঠে ৫০ একর জমিতে কৃষি যন্ত্রপাতির সহায়তায় ধানের চারা রোপন উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। এসময় তিনি বলেন, বৃষ্টি হচ্ছে আল্লাহর নিয়ামত। এতে ফসল ভাল হয়। অনেকে বলেন, কৃষকরা সোনা ফলায়। আমি বলি সোনার চেয়েও বেশি। সোনা ছাড়া মানুস বাঁচতে পারে। কিন্তু খাদ্য ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। সেই খাদ্য কৃষকরা যোগান দেন। কৃষকদেরকে সালাম। কৃষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, জাপানিজরা খাবারের আগে খাদ্য প্রস্তুতকারী কৃষকের প্রসংশা করে খেতে বসেন। আমরাও কৃষকদের কাছে চির ঋনী। তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।

সমালয়ে চারা রোপন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো আব্দুল মাজেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, উপজেলা নির্বাহি অফিসার রনি আলম নূর, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান এ্যাড সালমুন আহমেদ ডন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভ‚মি রেজওয়ানা নাহিদ, ডাউকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এসএম আলমগীর শফিউল্লাহ, কৃষি প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন পালুয়ান, সহকারি কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা আসহাব উল হক ।

স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হোসেন শহীদ সরোওয়ার্দী।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোহেল রানার উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন জেসিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান, উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াহেদ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক খালেম মিয়া, কৃষক সিদ্দিক আলী, মোহাম্মদ আলী, রজব আলী, জাহিদুল ইসলাম, ছানোয়ার হোসেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, আব্দুর রফিক, জাহিদুল ইসলাম, খালিদ সাইফুল্লাহ, নজরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

কৃষক সিদ্দিক আলী বলেন, আমরা সারা জীবন হাত দিয়ে ধানের চারা লাগিয়েছি। প্রতি একর জমিতে ধানের চারা লাগাতে করতে ১৫ থেকে ২০জন শ্রমিক লাগে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার কৃষিকে আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে আরো সহজ করে নিয়ে এসেছে। এখন এক একর জমিতে ধানের লাগাতে অল্প সময় লাগে। আর খরচও অনেক কম হয়। এই মেশিন দিয়ে ধান লাগাতে পেরে পেরে মাধবপুর গ্রামের কৃষকরা খুব খুশি হয়েছে।

২০২১/২২ অর্থ বছরেরর কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে প্রায় ১শ ৫০ জন কৃষকের বীজতলা তৈরি, ধানের বীজ প্রদান, চারা তৈরি, ধানের রোপন, সারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান করা হয় । এসএল৮এইচ জাতের ধানের চারা রোপন করা হয়।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram