আলমডাঙ্গার ব্যবসায়ি হাজী হারুন অর রশিদকে মজুদকৃত ১ হাজার মণ পাট দ্রুত বিক্রির নির্দেশ
আলমডাঙ্গার বিশিষ্ট ব্যবসায়ি হাজী হারুন অর রশিদকে মজুদকৃত ১ হাজার মণ পাট দ্রুত বিক্রির নির্দেশ দিলেন পাট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পাট অধিদপ্তরের একটি টিম হারুন-অর রশিদের ২টি গোডাউন পরিদর্শন শেষে এ নির্দেশ দিয়েছেন। ১৭ ফেব্রæয়ারী বুধবার চুয়াডাঙ্গা পাট অধিদপ্তরের মূখ্য পরিদর্শক মহাসিন শিকদার, পরিদর্শক আসাদুজ্জামান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুমায়ুন কবীর এ টিমের নেতৃত্ব দেন।
প্রসঙ্গত, এ বছর পাটের দাম কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়িরা ২ হাজার –আড়াই হাজার টাকা মণ যে পাট ক্রয় করেছেন এখন তার দাম ৬ হাজার টাকা মণ। আরও বৃদ্ধির সর্বগ্রাসী লোভে ব্যবসায়িরা পাট বিক্রি না করে গুদামজাত করে রেখে পাটের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছেন। পাটব্যবসায়ি সিন্ডিকেটের পাটের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টির ফলে পাটকলগুলিকে পড়তে হচ্ছে কাঁচামাল সংকটে। ফলে শতাধিক পাটকল বন্ধ হয়ে গেছে।
চালসহ বাজারে নিত্যপণ্যের দামের সাথে টেক্কা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে পাটের দাম। এক কেজি পাটের দাম দিয়ে আড়াই কেজি চাল কেনা যাচ্ছে। দেশে পাটের দামের ইতিহাসে এই দর সর্বোচ্চ। তবুও পাট নেই বাজারে। অধিক মুনাফার লোভে পাট গুদামজাত করে রেখে পাটের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই একের পর এক বন্ধ হচ্ছে পাটকল। অনেকে মনে করছেন পাটের কৃত্রিম সংকট দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরণের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এরপর আলমডাঙ্গা পুরাতন বাজারে পণ্যে পাট জাত মোড়ক বাধ্যতা মুলক আইনে দুটি প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করেন। এসময় মেসার্স রুবেল ট্রেডার্সের মালিক আবদার আলীকে ৫শ টাকা ও মেসার্স লক্ষী ভান্ডারের মালিক শ্রী অসিত কুমার ঘোষকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করে। এসময় আলমডাঙ্গা থানার এসআই সোহাগ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।