১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গার বক্সীপুরে মেয়ের ইটের আঘাতে বাবার মৃত্যু

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
33
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মেয়ের ইটের আঘাতে বাবার মৃত্যু হয়েছে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মেয়ের মাথায় আঘাত করলে ক্ষুদ্ধ মেয়ে ইট তুলে বাবার মাথায় ছুড়ে মারেন। এতে বাবার মাথা ফেটে যায়। পরে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রবিবার সকাল ১০ টার দিকে বক্সিপুর গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মেয়ে ববিতা খাতুনকে আটক করেছে।


আটক ববিতা খাতুন জানান, "আমি দেবররের সাথে চুয়াডাঙ্গা শহরে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিলাম। দেবরের সাথে কথা বলার দরকার। কিন্তু আমার মোবাইল ফোনে ব্যালেন্স ছিল না। ৫ম শ্রেণিতে পড়া আমার ছেলে আকুলকে ফ্লেক্সি দিতে ২০ টাকা দিয়্রছিলাম। কিন্তু টাকা আসেনি। এ সব কথা ছেলেকে জিজ্ঞেস করছিলাম। ছেলে আমস্র কথায় কর্ণপাত করছিল না। এই নিয়ে আব্বা আমার ছেলেকে ধারধর করছিল। আমি নিষেধ করলে আমাকে তার হাতে থাকা দা দিয়ে কোপ মারে। এই নিয়ে গোন্ডগোল হয়েছে।"


সানোয়ার হোসেন উপজেলার রেলজগন্নাথপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। কয়েক বছর ধরে তিনি শ্বশুরবাড়ি বক্সিপুর গ্রামে বসবাস করেন।


পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, রবিবার সকাল ১০ টার দিকে সানোয়ার হোসেন তার নাতি ছেলেকে কিল থাপ্পড় মারেন। এ সময় মেয়ে ববিতা বাধা দিতে গেলে তাকেও হাতে থাকা হেসো দিয়ে কোপ মারেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়ে ববিতা খাতুন (৩০) ইট তুলে বাবার মাথায় ছুড়ে মারেন। এতে বাবা সানোয়ার হোসেনের মাথা ফেটে যায়। তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সানোয়ার হোসেনের মৃত্যু হয়।


ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ববিতার মামাত ভাই ও প্রতিবেশী মতিয়ার রহমান মিন্টু জানান, আমি ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলাম না। সংবাদ পেয়ে বাড়ি এসে শুনেছি ববিতার ছেলেকে মারধর করার সময় সে বাধা দিতে গেলে তাকেও মারতে থাকেন তার বাবা। এ সময় ববিতা ইট দিয়ে তার বাবার মাথায় মারলে তিনি গুরুতর জখম হন। পরে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে মারা যান।


থানার এসআই রাশিদুল ইসলাম জানান, মেয়ে ববিতার ইটের আঘাতে বাবা সানোয়ার হোসেন রক্তাক্ত জখম হলে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত ববিতাকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।


এদিকে, রাগের বশে ঘটে যাওয়া এ প্রাণঘাতী দুর্ঘটনায় গ্রামের অনেককেই দুঃখ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। পিতৃ হত্যায় অভিযুক্ত মেয়ে ববিতা নিজেও শিশুর মা। তার ছেলে ৫ম শ্রেণিতে পড়ে।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram