২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গার ফরিদপুরের বকুল মাঝরাতে স্কুল ছাত্রীর রুমে ঢুকে আক্কেল সেলামি দিলেন লক্ষাধিক টাকা

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
অক্টোবর ২৯, ২০২০
21
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


আলমডাঙ্গার ফরিদপুরের বকুলের কান্ড। ৮ম শ্রেণির ছাত্রির রুমে ঢুকে লক্ষাধিক টাকা আক্কেল সেলামি দিলেন। ২৮ অক্টোবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বকুল স্কুল ছাত্রীর ঘরে যান।


গ্রাম ও পুলিশসূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মন্টু মিয়ার ছেলে ১ সন্তানের জনক বকুল হোসেনের (৪৫) কান্ডে এলাকায় রসাত্বক আলোচনার ঝড় তুলেছে। অনেকেই দিচ্ছেন ধিক্কার। গত বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর গ্রামের কারিগরপাড়ার ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হন। সেই অপেক্ষায় ছিলেন বকুল হোসেন। তিনি সেই সুযোগে কিশোরীকন্যার রুমে প্রবেশ করে খাটের উপর বসে ছিলেন।

কয়েক মিনিট পরে কিশোরীকন্যা তার রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে শুতে গিয়ে দেখতে পান বয়স্ক বখাটে বকুল হোসেনকে। সে সময় কিশোরীকন্যা চিৎকার করে উঠলে পাশের রুম থেকে মা-বাবা ও ভাই ছুটে আসে। ঘর কুলতে বললে বকুল ছাত্রীকে ভয় দেকায়। পরে ছাত্রীর ভাই কৌশলে ঘরের আড়া বেয়ে ওই রুমে প্রবেশ করেন। তারা বকুলকে ঘরে আটকে প্রতিবেশিদের ডাক দেন। প্রতিবেশিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সকলে বকুল হোসেনকে গণপিটুনি দেন। পরে ভোরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ বকুল হোসেনকে থানায় নিয়ে আসেন।


এদিকে, প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান বকুলকে আইনের হাত থেকে বাঁচাতে টাকার প্রলোভন দেখানো হয়। টাকা প্রলোভনে পড়ে গ্রামের কিছু ব্যক্তি দালালি শুরু করেন। তারা বিষয়টি টাকায় মীমাংসা করতে নানাভাবে চাপ ও তদবির শুরু করেন। এক পর্যায়ে কিশোরীকন্যার বাপ শহিদুল ইসলামের হাতে ৭০ হাজার টাকা ধরিয়ে দেয়।


গ্রামের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শুধু মেয়ের বাপকেই টাকা দিতে হয়নি, দিতে হয়েছে গ্রামের কিছু ব্যক্তি ও অন্যান্য কয়েক খাতে। সব মিলিয়ে সোয়া লক্ষাধিক টাকা আক্কেল সেলামি দিতে হয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে।


গ্রামের অনেকে অভিযোগ করেছেন বকুল হোসেনের চরিত্র নিয়ে। বকুল প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে গ্রামেই আবার দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন কয়েক বচর পূর্বে। এ পক্ষে তাদের দাম্পত্যে এক সন্তান রয়েছে। সন্তানসহ ২য় স্ত্রীকে এখনও ঘরে তোলেন নি। ফেলে রেখেছেন শ্বশুরবাড়ি।


আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন জানান, মেয়ের অভিভাবক অভিযোগ করতে সম্মতি না হওয়ায় এ ঘটনায় মামলা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে, বয়স্ক বকুল হোসেনের এহেন কান্ডে গ্রামসহ এলাকায় রসাত্মক আলোচনার ঝড় তুলেছে। মোড়ের চায়ের দোকানে দোকানে বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram