আলমডাঙ্গার কুমারীতে দুই প্রার্থীর অফিসে হামলা পাল্টা হামলার অভিযোগ
আলমডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলার ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাতে অফিসে অবস্থানকালে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মোটর সাইকেল ভাংচুর অগ্নি সংযোগ ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা গেছে,আলমডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে কুমারী গ্রাম থেকে দু'জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আবু সাঈদ পিন্টু ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাম্মেল হক। ১৪ নভেম্বর রোববার রাতে মোজাম্মেল হক ও আবু সাঈদ পিন্টুর নৌকার অফিসে হামলা হয়েছে বলে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয় । এ সময় বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে কুমারী বাজারে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় আবু সাঈদ পিন্টুর সমর্থক সেলিম ও মোজাম্মেল হকের সমর্থক হিরনকে আটক করে পুলিশ ।
এ ঘটনার বিষয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাম্মেল হক জানান, রাতে তারা কয়েকজন অফিসে বসে ছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষ নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন হামলা করে। হামলায় তাদের ৭/৮ টি মোটর সাইকেল ভাংচুর ও ১ টি মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ সময় তাদের হামলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী আব্দুর রাজ্জাক ও তার ভাইসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
এদিকে এ বিষয়ে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাঈদ পিন্টু বলেন, রাতে তার অফিসে দু'একজন ছাড়া তেমন লোকজন ছিল না। এসময় প্রতিপক্ষ আনারস প্রতিকের সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমার সমর্থকদের আহত করে। তাদের হামলায় আমার সমর্থক লাভলু ও দীপন আহত হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। ঘটনা জানতে পেরে আমি ওসি সাহেবকে ফোন করেছি।
এদিকে এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, কুমারীতে দুই প্রার্থীর অফিসে হামলার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে । দু প্রার্র্থীর দু'জন সমর্থককে আটক করা হয়েছে।