২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গার আলোচিত ও রহস্যাবৃত জোড়া খুনের ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশ

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২
54
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

আলমডাঙ্গার আলোচিত ও রহস্যাবৃত জোড়া খুনের ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশ। সংঘটিত হত্যাকান্ডের ৫ দিন পর সন্দেহজনক চার খুনিকে পুলিশ তাদের কব্জায় নিতে পেরেছে। এই পাঁচদিন ধরে পুলিশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা রাতদিন নানা এঙ্গেলে খুনিদের খুঁঝতে জাল ফেলে রাখে। পুলিশের ফেলে রাখা জালে প্রথমে পা দেয় বিদ্যুৎ নামের এক খুনি। এরপর পুলিশ একে একে তুলে নেয় সাহাবুল,শাকিল ও রাজিবকে। এই চারজনকে আটক করেই ডিবি পুলিশ চুয়াডাঙ্গায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।


আটক খুনিরা হচ্ছে আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামের বজলুর ছেলে সাহাবুল, একই গ্রামের মাসুদ ওরফে বুদোমের ছেলে বিদ্যুৎ, পিন্টুর ছেলে রাজিব ও তাজউদ্দিনের ছেলে শাকিল। এদের প্রত্যকের বাড়ি আসাননগর গ্রামে।

পুলিশ জানিয়েছে, স্বামী-স্ত্রী নজির উদ্দিন ও ফরিদা বেগমের নির্মম হত্যাকান্ডের দিন টাকার সাথে দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় খুনিরা। পুলিশ এই মোবাইল সেট দুটিকে জাল হিসেবে ফেলে রাখে। পাঁচদিন ধরে মোবাইল দুটি বন্ধ পাওয়া যায়। পুলিশ মোবাইল খোলার অপেক্ষা করতে থাকে।

মঙ্গলবার রাত থেকে দুটি মোবাইলের একটি খোলা পায় পুলিশ। লোকেশন ধরে পুলিশ মোবাইলের কাছে চলে যায়। পুলিশের মোবাইল জালে প্রথম আটকা পড়ে বিদ্যুৎ। এরপর একে একে আটক করা হয় সাহাবুল, শাকিল ও রাজিবকে।

জানা য়ায়, নজির উদ্দিন ধান-চালের পাশাপাশি বালির ব্যবসা শুরু করেন। এ জন্য তিনি একটি স্টেয়ারিং গাড়িও কেনেন। খুনের মাস্টারমাইন্ড সাহাবুল নজির উদ্দিনের সেই স্টেয়ারিং'এ বালি আনা-নেওয়া করত। ঘটনার দিন সাহাবুল তার সহযোগী বিদ্যুৎ, শাকিল ও রাজিবকে নিয়ে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নজির উদ্দিনের বাড়ির সামনে হাজির হয়। বালি কেনার কথা শুনে এবং সাহাবুলকে চিনতে পেরে নজির উদ্দিন বাড়ির দরজা খুলে দেন। তারা বাড়িতে ঢুকে দুজনকে খুন করে টাকা, কিছু গয়না ও দুটি মোবাইল সেট নিয়ে বেরিয়ে যায়।

এটাকে চুরি করতে গিয়ে তাৎক্ষনিক হত্যার ঘটনা ধরা যায়। কিন্ত অনেকের ধারনা এই হত্যাকান্ডের পেছনে বড় কোন মাস্টারমাইন্ড থাকতে পারে। কারন হিসেবে তারা বলছেন, সামান্য ৪৫ হাজার টাকার জন্য দুই দুটি হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে না। মাস্টারমাইন্ড সাহাবুলের পেছনে বড় মাস্টারমাইন্ড থাকতে পারে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিবরণঃ
১। মোঃ শাহাবুল হক(২৪), পিতা- বজলুর রহমান, সাং-আসাননগর (মাঝেরপাড়া), থানা-আলমডাঙ্গা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা।

২। মোঃ রাজীব হোসেন(২৫), পিতা-পিন্টু রহমান, সাং-আসাননগর (শেষপাড়া),থানা-আলমডাঙ্গা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা।

৩। মোঃ বিদ্যুত আলী(২৩), পিতা-মাসুদ আলী, সাং-আসাননগর (মাঝেরপাড়া), থানা-আলমডাঙ্গা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা।

৪। মোঃ শাকিল হোসেন(২১), পিতা-মোঃ তাজ উদ্দিন, সাং-আসাননগর(স্কুলপাড়া), থানা-আলমডাঙ্গা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram