২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমি পুকুর কাটি আর গাঙ কাটি তাতে মানুষের কী? আমার লীজের কাগজপত্র আছে

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
মে ৯, ২০২১
41
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


রেলওয়ের জমিতে এসকেভেটর দিয়ে গভীর পুকুর খনন করায় আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন হুমকির মুখে পড়েছে। দিন রাত ধরে ওই পুকুর খনন করছেন পুকুরের জমি অবৈধভাবে সাব লীজ গ্রহণকারী আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবদলের নেতা ফরহাদ।


জানা যায়, আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনের পেছন দিক দিয়ে বাইপাস সড়ক। এ বাইপাস সড়ক নির্মাণের সময় আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের পাশের জমি কাটা হয়। পরে রেলওয়ের ওই নীচু জমি লীজ নিয়ে অনেকে মাছ চাষ শুরু করেন। বর্তমানে রেলওয়ের ওই নীচু জমি লীজ গ্রহণ করেছেন পাকশী বাঘইলের পান্না হোসেন। পরে তার নিকট থেকে সাব লীজ নিয়েছেন আলমডাঙ্গার যুবদল নেতা ফরহাদ হোসেন। যদিও সাবলীজ দেওয়া অবৈধ। গত কয়েক দিন ধরে সাবলীজ গ্রহণকারী ফরহাদ এসকেভেটর মেশিন দিয়ে স্টেশনের পেছনে গভীর পুকুর খনন করছেন। এসকেভেটর মেশিন দিয়ে গভীর পুকুর খননের ফলে রেলপথের মাটি ভেঙ্গে পড়ছে। সঙ্গত কারণে বর্ষাকালে এ ভাঙ্গল ভয়াবহ হয়ে উঠবে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন ও সংশ্লিষ্ট রেলপথ।


অভিযুক্ত যুবদল নেতা ফরহাদ হোসেন বলেন, যত খুশি ছবি তোলেন, নিউজ করেন অসুবিধা নেই। আমার লীজের কাগজপত্র আছে। আমি পুকুর কাটি আর গাঙ কাটি তাতে মানুষের কী?


রেলওয়ের বিশিষ্ট ঠিকাদার জাহিদ হোসেন রেন্টু বলেন, এসকেভেটর দিয়ে পুকুর খনন কিংবা ভূমির রূপ পরিবর্তনের সুযোগ নেই লীজ গ্রহণকারির।
বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান ভূ –সম্পত্তি কর্মকর্তা (পশ্চিম) ড. আব্দুল মান্নান বলেন, সাবলীজের কোন সুযোগ নেই। তাছাড়া রেলওয়ের জমি লীজ নিয়ে নতুন করে পুকুর খনন কিংবা পূণর্খননেরও সুযোগ নেই। এ সব অনিয়মের ফলে ওই লীজ বাতিল করা হবে।


পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা নুরুজ্জামান বলেন, আমি দ্রæত প্রতিনিধি পাঠাচ্ছি সরেজমিন গিয়ে পরিদর্শন করতে। অভিযোগ সত্য হলে লীজ বাতিল করা হবে।

আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল বলেন, এ বিষয়টি জানার পর খনন কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুকুর খনন কিংবা পূণর্খনন করা বিষয়ে রেলওয়ের অনুমতিপত্র থাকলে তা দেখাতে বলা হয়েছে।


আলমডাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহমেদ ডন বলেন, উপমহাদেশের প্রথম রেললাইনের প্রথম স্টেশনগুলির একটি। এমনকি, উপমহাদেশের একমাত্র দ্বিতল স্টেশন। ফলে এটি আমাদের তথা বাংলাদেশ রেলওয়ের গর্ব। এ গর্ব ধ্বংস হবে স্বার্থান্নেষী কোন ব্যক্তির কারণে এটা মেনে নেওয়া যায় না।বৃহত্তর স্বার্থে এ লীজ বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram