২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অবৈধ বালু উত্তালনকারীদের কাছে ব্যার্থ প্রশাসন, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা!

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
জুন ১০, ২০২১
30
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহের হরিণাকুÐু উপজেলার নারায়ণকান্দি গ্রামের ফসলী জমি বিনষ্ট করে দিনের পর দিন জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রভাবশালী আক্তার মেম্বরগং এর বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে বালু উত্তালণ অব্যাহত রাখার অভিযোগ উঠেছে।


স্থানীয় জনসাধারণ অভিযোগ করে বলেন, জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ স্থানীয় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে সাঁড়া দিয়ে সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ অবৈধ বালু উত্তালণ বন্ধ করার সাথে সাথে জব্দ করেন বালু উত্তোলনে ব্যবহারিত সকল সরঞ্জাম। কিন্তু তিনি বদলি হওয়ার পরপরই কিছু স্বার্থলোভি মহলকে ম্যানেজকরে আবারও শুরু করছেন এ অবৈধ বালু উত্তালণ, যা এলাকার কৃষিসহ পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে।তবে বালুখোররা এবার ভিন্ন কৌশলে বালু উত্তালন করছে বলে ভূক্তভোগী ব্যক্তিরা অভিমত ব্যক্ত করছে।,

সেটি কেমন জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, রাতে বালু উত্তালন করে রেখে পরদিন বিক্রয় করা হয়। তাছাড়া একদিনে অধিক পরিমান বালু উত্তালন করে পাহারার মাধ্যমে বেশ কয়েক দিনধরে বিক্রি করা হয়। বালু ব্যবসয়ীরা এবার পুলিশের কাজে বালু সরবরাহ করছে বলে বেশ উৎসাহের সাথে ব্যবসা চালানোর তথ্য পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে খোজ নিয়ে জানা যায়, ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্প ভরাট করার জন্য বালু সরবরাহ করছে এই গ্যাংটি। এতে তাদের পোয়া বারো ভাব। বালু উত্তোলনকারি নারায়ণকান্দি গ্রামের প্রভাবশালী আক্তার মেম্বর ও তার পাটনার লাল জানান, আমি সত্যি কথা বলবো, আমরা জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় দীর্ঘদিন বালু উত্তোলন কাজ বন্ধ রেখে ছিলাম।

হঠাৎ করে জানতে পারলাম, ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্প ভরাটের জন্য মাটি লাগবে। ব্যাস বিষয়টি নিয়ে পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বসে গেলাম। পুলিশ প্রশাসনের সাথে খোলামেলা কথা বলে জানা যায় লাখ তিনেক টাকার বালি ভরাট কাজে লাগবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায় বালু ভরাট কাজের জন্য মাত্র পঞ্চাশ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে। এরপর কর্তৃপক্ষ কাজটি সম্পন্ন করতে বলেন। বেশ কিছু বালু সরবরাহ করা হয়েছে। এখন দিনে দুগাড়ি করে বালু ক্যাম্পে দিচ্ছে বলে জানান। আংশিক টাকাও পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।

এব্যাপারে উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরীর নিকট মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে তো জানিনা, আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনছি। অথচ অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে মাত্র কদিন পূর্বেই তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা জানান, অভিযোগ পেয়েছি, অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিম মোল্লার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, সরকারি কাজের জন্য বালি নেওয়া হয়েছে, ক্যাম্পের বালি নেওয়া শেষ। এলাকাবাসির অভিযোগ রক্ষক যদি ভক্ষক হয়, তাহলে দেশ চলবে কিভাবে। এলাকার সচেতন নাগরিক মহল এলাকার কৃষি-পরিবেশ রক্ষার জন্য এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরনাপন্ন হবেন বলে গণমাধ্যম কর্মিদের জানান।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram