আলমডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র প্রার্থি আবু মুসার নির্বাচনি মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় আলমডাঙ্গা বৃহত্তর কাপড়পট্টি ব্যবসায়ি সমিতি ওই নির্বাচনি মতবিনিময়সভার আয়োজন করে।
বৃহত্তর কাপড়পট্টি সমিতির সভাপতি হাজী গোলাম রহমান সিঞ্জুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ জকু। বক্তব্যে প্রধান অতিথি বলেন, আবু মুসা যদি মেয়র হন, তাহলে তাকে পৌরসভার দুই কোটি টাকার বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে হবে। গরীবদের বেতন বাকী রেখে ধনীরা কীভাবে চেয়ারে বসে থাকে? আপনারা ব্যবসায়িরা একজন মেয়র নির্বাচিত করতে চেয়েছেন।
এটা রীতিমত দুঃসাহস। নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা জোয়াখেলা হবে। নানাভাবে আপনাদের বেরিকেড দেওয়া হবে। এ সব সহ্য করেই নির্বাচন করতে হবে। একটা সময় ছিল যখন আলমডাঙ্গার ব্যবসায়িদের লাখ লাখ টাকা বিশেষ ব্যক্তিদের দিয়ে ব্যবসা করতে হয়েছে। কিন্তু আলমডাঙ্গার ব্যবসায়িরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পেরেছে শুধু চুয়াডাঙ্গা -১ আসনের এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও আবু মুসার কারণে।
প্রধান বক্তা সাবেক পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি আবু মুসা বলেন, দীর্ঘ বছর আমি আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। কখনও কি কারও সাথে দুর্ব্যবহার করতে দেখেছেন। কারও সাথে ধমকের সুরে কথা বলতে দেখেছেন? আমি ভবিষ্যতেও সকলের মর্যাদা সমুন্নত রেখে চলবো। কখনও নিজের লাভ খুঁজে বেড়াই নি। সবসময় ব্যবসায়িদের কথা ভেবেছি। দলের কথা ভেবেছি। আমাকে নির্বাচিত করলে শাসক হিসেবে নয় সেবক হিসেবে সকলের হৃদয়ে স্থান করে নেবো।
আপনারা আমার পাশে থাকবেন। এইটুকু জোর গলায় বলতে পারি, কেউ ঠককবেন না। চুরি চামারি করবো না। এমন স্বভাব কোনকালেই ছিল না। সকলের ন্যায্য হক পাবেন। উন্নয়ন কীভাবে করতে হয় তা ইতোমধ্যে জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে তার স্বাক্ষর রেখেছি। বেশি গলাবাজি করতে চায় না, উন্নয়নের মাধ্যমে তার প্রমাণ দেখাতে চায়। আলমডাঙ্গার ১ম শ্রেণির পৌরসভার রাস্তা দিয়ে চলা যায় না। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় পুরো পৌরসভা ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন গোস্বামী দুর্গাপুরের সাবেক চেয়ারম্যান আবু জমজম, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী আলহাজ¦ রফিক উদ্দিন এ্যাড. আফজাল উদ্দিন, প্রফেসর আব্দুল ওয়াদুদ, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল খালেক, সিনিয়র শিক্ষক কাজী মনিরুজ্জামান, সাবেক শিক্ষক লুৎফর রহমান, আলহাজ¦ রফিক মিয়া, শহিদুল ইসলাম, হাজী নাসির উদ্দিন, হাজী মরশেদ আলম মন্টু, হাজী শামছুল হক, হাজী নুরুল ইসলাম, হাজী মহি উদ্দিন, হাজী রইচ উদ্দিন, হাজী আব্দুল বারী, রবিউল ইসলাম, আবু তাহের, মাওলানা আবুল বাশার।
প্রভাষক একেএম ফারুকের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম, সেলিম হোসেন, হাসানুজ্জামান, সাবু, মাজেদ, মিরাজুল ইসলাম রঞ্জু, শাহিন রেজা, আব্দুল কাদের, নুরুন নবী, হারুন অর রশিদ, আব্দুল খালেক, মেহেদী, শামিম, জনি আলম, বাবু, হিরো, রুবেলসহ গার্মেন্টস সমিতি, বস্ত্র সমিতি, জুতা পট্টি সমিতি, মনোহরি সমিতি, ক্রোকারিজ সমিতি, কর্মচারীর সকল সদস্য প্রমুখ।