চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া মিরপুর সীমান্তের আলমডাঙ্গা পারকুলা আবাসনের পাশের্^ শহীদ টগর স্মৃতি স্তম্ভ রক্ষা কমিটির উদ্দোগে মীরপুর ও আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৯ টার দিকে আলমডাঙ্গা পারকুলা আবাসনের পাশে শহীদ টগরের স্মৃতি স্তম্ভের পাশে কুষ্টিয়া জেলার মীরপুর উপজেলার সুকচা গ্রামের মৃত আফসার আলী মন্ডলের ছেলে আবু বক্কর মটর একটি ঘর নির্মান করেছে।
শহীদ টগরের স্মৃতি স্তম্ভটির পাশে সরকার প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা ব্যায়ে একটি মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে। কিন্ত শহীদ টগরের স্মৃতি স্তম্ভের পিছনে সরকারি জায়গায় আবু বক্কর দোকান ঘর নির্মান করায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভ নির্মান করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারী জমি থেকে ওই অবৈধ দখলদারদের তুলে দেওয়ার জন্য শহীদ টগর স্মৃতি স্তম্ভ রক্ষা কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করেছে।
আলমডাঙ্গার সাবেক পৌর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ শেখ নুর মোহাম্মদ জকু সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযেদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মইনদ্দিন, মীরপুর উপজেলার সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আসকার আলী, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দি, মুক্তিযোদ্ধা রনজেদ আলী, মুক্তিযোদ্ধা মনীন্দ্রনাথ দত্ত, ঢাকার বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও আওযামীলীগ নেতা শেখ আশাদুল হক মিকা। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গনির উপস্থাপনায় আরো বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার সেলিম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা হাজী শমসের মল্লিক, মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ লিয়াকত, মীরপুর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি লুৎফর রহমান, সদস্য সাইফুজ্জামান হীরা, নাজমুল হাসান, আব্দুল লতিফ, জামিল উদ্দিন উকিল ও মোহাম্মদ আলী,প্রমুখ। সভায় প্রায় ২ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিল। সকল মুক্তিযোদ্ধা তাদের বক্তব্যে বলেন মটর আলীকে ৭ দিন সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে যদি মধ্যে সে তার দোকান ঘর ভেঙ্গে না নেয়, তাহলে প্রশাসন ও সকল মুক্তিযোদ্ধা একত্রীত হয়ে ঐ অবৈধ দোকান ঘর ভেঙ্গে দেওয়া হবে।