রাত পোহালেই ২১ নভেম্বর শনিবার আলমডাঙ্গা ব্যবসায়ি সম্প্রদায়ের সবচে বড় সংগঠণ আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন শুরু হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৮টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির নিজস্ব ভবনের ৩য় তলায় ভোট গ্রহণের জন্য ৭টি বুথ তৈরি করা হয়েছে। যে সকল ভোটার ৩ তলায় উঠতে সমর্থ হবেন না, তাদের জন্য নীচ তলায় আরেকটি বুথ সৃষ্টি করা হয়েছে। ভোট ভোটার সংখ্যা ৮০৫ জন। বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থিরা প্রায় এক মাস ধরে ভোটারের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন।
ইতোপূর্বে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ি, ৫ নভেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, ৬ নভেম্বর ভোটার তালিকায় আপত্তি দাখিল ও নিষ্পত্তি, ৭ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, ৮ ও ৯ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র গ্রহণ, ১০ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল, ১১ নভেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি, ১২ নভেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, চূড়ান্ত প্রার্থির তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হয়।
মোট ১৯টা পদের বিপরীতে ৩২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সভাপতি পদে সাবেক ২ বারের সভাপতি হাজী মকবুল হোসেন, আজিম উদ্দীন ও আরেফিন মিয়া মিলন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সহসভাপতি পদে একেএম এনামুল কবীর, কামরুজ্জামান হিরা ও তাইজাল হক তাজু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কামাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম ঘেটু ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহসাধারন সম্পাদক পদে আমিরুল ইসলাম প্রিন্স, রফিকুল আলম ও শরিফুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক ৩ বারের কোষাধ্যক্ষ আলাউদ্দীন, রেজাউল হক। সাংগঠণিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জনি মিয়া ও আব্দুল লতিফ। ক্রীয়া সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আব্দুল মজিদ ও বাবলুর রহমান।
এছাড়া, ১০টি সাধারণ সদস্য পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১২জন। এরা হলেন – শেখ সাদী শিশির, জসিম উদ্দীন, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল ওহাব বাবলু, ফজলুর রহমান, মীর মতিয়ার রহমান, রেজাউল হক তোতা, সিরাজুল ইসলাম, ক্যাপ জয়নাল, মনির উদ্দীন, শফিউল হাসান মিলন ও শ্রী বাপ্পী সাহা।
তাছাড়া, ইতোপূর্বে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ধর্মীয় সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন হাফেজ মোতালেব হোসেন ও দপ্তর সম্পাদক আইবুর রহমান।
প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সোনালী ব্যাংকের প্রাক্তন কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ও সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।
প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, সুষ্ঠু ও নিরোপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে যে যে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, তার সবই গ্রহণ করা হয়েছে। সুষ্টু নির্বাচনের স্বার্থে প্রার্থিদের যেমন নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলতে হবে, তেমন সাধারণ ভোটাদের সহযোগিতাও অত্যন্ত প্রয়োজন।