মেহেরপুর প্রতিনিধি। স্বাধীনতা সূতিকাগার মুজিবনগর ও বঙ্গবন্ধুর সমাধীস্থল টুঙ্গিপাড়ার সাথে সেতু বন্ধনে বিআরটিসির সরাসরি বাস চালু করা হচ্ছে। সোমবার মেহেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক প্রেস বিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান।
প্রেস বিফিংয়ের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আগামী ১৭ মার্চ মুজিবনগর-টুঙ্গিপাড়া বিআরটিসি বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করা হবে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতার জন্মস্থান এবং তার পরিবারের সদস্যদের সমাধিকে ধারণ করছে অন্যদিকে মুজিবনগর স্বাধীনতার স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান। ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি স্থান মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করে।
স্বাভাবিকভাবেই এদুটি স্থানের মধ্যে সহজ ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত আকাঙ্খিত। বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রীয় পরিবহন বিআরটিসির বাস সার্ভিস চালুর মাধ্যমে এ দুটি স্থানের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ চালু হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যমন্ডিত দুটি স্থানের মধ্যে সরাসরি এ যোগাযোগ মানুকে দুটি স্থান ভ্রমণে আরও উৎসাহ যোগাবে। এতে করে দেশপ্রেম ও সচেতনা বৃদ্ধি পাবে যা উন্নত দেশ গঠনে সহায় হবে বলে তিনি মনে করেন।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বিআরটিসির এ বাস টি মুজিবনগর থেকে সকাল ৬টায় ছাড়বে এবং গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকেও একই সময়ে বাস ছাড়বে। বাসটি মুজিবনগর থেকে ছেড়ে মেহেরপুর জেলা শহর হয়ে চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাদহ, মাগুরা, ফরিদপুর, ভাংগা, গোপালগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতার মাজার পর্যন্ত। উদ্বোধনী দিন থেকে শুরু করে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভর্তুকি দিয়ে ১০ দিন সাশ্রয়ী ভাড়ায় ২শত টাকা করে যাওয়া-আসা চারশত টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মৃধা মুজাহিদুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আজম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব চাঁদু, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাধারণ সম্পাদক আলামিন হোসেন, উপজেলা নির্বাহি অফিসার মাসুদুল আলম সহ রাজনৈতিক ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিক বৃন্দ।