পা জড়িয়ে ধরে ছেলে বিয়ে দিয়ে পরে জমি লিখে দেওয়ার দাবিতে গৃহবধুকে নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আলমডাঙ্গার ডম্বলপুর গ্রামের নবিছদ্দিন মন্ডলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধু থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের ডম্বলপুর গ্রামের অবস্থাসম্পন্ন কৃষক মকবুল হোসেনের ৪ মেয়ে। বড় তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলেও ছোট মেয়ে ছিল অবিবাহিত, ক্লাস টেনে পড়ে। প্রতিবেশি নবিছদ্দিন মন্ডলের দৃষ্টি পড়ে পুত্রসন্তানহীন মকবুল হোসেন মন্ডলের জমিজমার উপর।
তিনি প্রবাসে থাকা ছেলে সোহেলের সাথে মকবুল হোসেনের ছোট মেয়ে ঝুমকির বিয়ের প্রস্তাব দেন। এ বিয়েতে কিছুতেই মকবুল হোসেনের পরিবার রাজি ছিল না। অবস্থা বেগতিক দেখে ধুরন্ধর নবিছদ্দিন মন্ডল মকবুল হোসেনের পা জড়িয়ে ধরেছিল। বিয়েতে রাজি না হওয়া অবধি প্রতিদিন ঝুমকির কপালে চুমু খেতো। এক পর্যায়ে বিয়েতে সম্মত হন মকবুল হোসেন। বর বিদেশ। ভিডিও কলে তাদের বিয়ে পড়ানো হয়।
বিয়ের কয়েক মাস পার হতে না হতেই নবিছদ্দিনের আসল চেহারা বের হতে শুরু করে। তিনি যৌতুক হিসেবে নগদ ৩ লাখ টাকা ও জমি লিখে দেওয়ার দাবিতে পুত্রবধুকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে পুত্রবধুকে বের করে দেন।
এ ঘটনায় নির্যাতিত ঝুমকি খাতুন বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।