আলমডাঙ্গার পাঁচ কমলাপুরে ঘুঘু পাখি ধরে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রবাসির ৯ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ঘরজামাই সোহেল (৪০) গ্রেফতার। এ ঘটনায় শিশুকন্যার চাচার দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলায় তাকে আটক করা হয়।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার পাঁচ কমলাপুর গ্রামের প্রবাস রফিকুল ইসলামের ৯ বছরের শিশুকন্যা গত ৪ নভেম্বর বিকেলে নিজ বাড়ির পাশের বাগানে খেলছিল। সে সময় একই গ্রামের ঘরজামাই সোহেল হোসেন তাকে ঘুঘু পাখি ধরে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে হাসান আলীর স্ত্রী জমেলা খাতুনের জনশূন্য বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে রক্তাক্ত শিশুকন্যাকে চকলেট কিনতে হাতে ৪ টাকা ধরিয়ে দেওয়া হয়।
ওই দিন রাতে শিশুকন্যা অসুস্থ্য হয়ে পড়লেও ধর্ষণের ঘপ্টনা জানায়নি। পরদিন রাতে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে তার মা প্যান্ট খুলে ভালভাবে দেখে বুঝতে পারেন যে শিশুকন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শিশুকন্যাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ধর্ষকের নাম জানিয়ে দেয় সে।
এ ঘটনায় কী চাচা রায়হান উল ইসলাম বাদি হয়ে ৭ নভেম্বর শনিবার দুপুরে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযানে নামে। গতকালই পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষক সোহেলকে গ্রেফতার করেছে।
আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর সর্বাত্মক অভিযান চালিয়ে দ্রæত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।