নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদের সামনে একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও মসজিদের এসি বিস্ফোরণের অন্তত ৩০ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার রাতে পৌনে ৯টার দিকে ইশার নামাজ চলাকালে ওই মসজিদের সামনে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়, সাথে সাথে মসজিদের এসিও বিস্ফোরণ ঘটে।
ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজমুল হোসেন জানান, ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে একের পর দগ্ধ রোগী আসতে থাকে। তাদের সবার নাম লিপিবদ্ধ করা যায়নি। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগের শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমসের আলী ঝন্টু অভিযোগ করেন, দগ্ধদের হাসপাতালে নেয়া হলে হাসপাতালে ফেলে রাখা হয়। কাউকে ধরাও হয়নি। পরে তাদেরকে ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছেন।
এর আগে তিনি জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে অনেকগুলো মানুষ দগ্ধ হয়ে পড়ে আছেন। পরে তিনি রোগীদের হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করেন।
স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টায় মসজিদের সামনে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয় এবং এরপর মসজিদের ভেতরে থাকা এসি বিস্ফোরিত হয়। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা ৩০ থেকে ৩৫ জন মুসল্লি দগ্ধ ও আহত হন। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। তবে থাই গ্লাস লাগানো থাকায় বের হতে পারেননি। এতে দগ্ধ ও আহতের সংখ্যা বাড়ে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের টিম কাজ করছে। তবে এই রিপোর্ট লেখার সময় মসজিদ কমিটির কাউকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধ রোগীদের একের পর এক শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে আনা হয়। এ সময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। দগ্ধ অনেকের অবস্থা গুরুতর বলে জানান চিকিৎসকরা।