ঢাকার নরসিংদী নাতনীর বউভাতে যোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে মারা গেছেন কনের দাদা আলমডাঙ্গার বন্ডবিলের মুন্সি মোশারফ হোসেন (৭০) ও নানী চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার আমেনা খাতুন (৬৫)। আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। ২৫ অক্টোবর রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুরের মধুখালীর আড়পাড়ায় ট্রাকের সঙ্গে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে এ প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের করিমপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম জানান, রাত দেড়টার দিকে মধুখালীর আড়পাড়া সরকারি প্রাইমারি স্কুলের নিকটবর্তী মহাসড়কের গতিরোধকের কাছে একটি যাত্রিবাহী মাইক্রোবাসের সাথে ট্রাকের সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসটির দুই যাত্রী মারা যায়। আহত হয় অন্তত পাঁচজন। আহতদের উদ্ধার করে মধুখালী ও ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনার পর মাইক্রোবাস ও ট্রাকটিকে জব্দ করেছে পুলিশ। তবে ট্রাকের ড্রাইভার পালিয়ে গেছে।
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, বন্ডবিল গ্রামের মৃত মুন্সি আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ের সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে ঢাকার নরসিংদী। বিয়ের পর বরপক্ষ গত বৃহস্পতিবার বউ নিয়ে বাড়ি ফেরেন। শনিবার ছিল বরের বাড়িতে বউভাত অনুষ্ঠান। সেই বউভাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নরসিংদী যায় কনের দাদা ও নানা পক্ষের কিছু আত্মীয়স্বজন।
শনিবার অনুষ্ঠান শেষে রাতে তারা মাইক্রোবাসযোগে বাড়ির পথে রওয়ানা দেন। রাত দেড়টার দিকে তাদের মাইক্রোবাস ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার আড়পাড়া এলাকায় পৌঁছলে ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে কনের দাদা আলমডাঙ্গার বন্ডবিলের মুন্সি মোশারফ হোসেন ওরফে বাবুদ মুন্সি (৭০) ও চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মন্টু সর্দ্দারের স্ত্রী ও কনের নানী আমেনা খাতুন (৬৫) মারা যান। কনের মামা খাইরুল বাশার ও তার ছোট ভাই —–সহ ৫ জন। তাদেরকে দ্রæত উদ্ধার করে পুলিশ মধুখালী ও ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ময়নাতদন্তসহ যাবতীয় দাপ্তরিক নিয়মকানুন শেষে আজ সন্ধ্যার দিকে দুজনের লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে জানাযা শেষে বাদ এশা গেট বন্ডবিল কবরস্থালে মুন্সি মোশারেফ হোসেনের লাশ দাফন করা হয়েছে।