২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী হাতু‌ড়ি দি‌য়ে পেটালেন সহকা‌রি শিক্ষককে

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
মে ১৮, ২০২৩
60
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


আলমডাঙ্গার জোড়গাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেনকে পিটিয়ে আহত করেছেন একই বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী ইকতার হোসেন। হুকুম করায় রাগান্বিত হয়ে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী ইকতার পিতলের ঘন্টা দিয়ে ওই শিক্ষককে বেদম পেটান। ১৭ মে বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে স্কুলে স্টাফ মিটিং চলাকালীন অন্যান্য শিক্ষকের সামনেই এ মারপিটের ঘটনা ঘটে। অপমানিত শিক্ষক ফারুক হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন।


জানা গেছে, প্রতিদিনের মত সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন ৯ টায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। সাড়ে ৯ টায় শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি সংক্রান্ত স্টাফ মিটিং শুরু হয়। এ সময় সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী ইকতারকে ল্যাপটপ নিয়ে আসতে বলেন। হুকুম করায় ইকতার রেগে যান। এ নিয়ে দু'জনের মধ্যে উত্তপ্ত কথা বিনিময় হয়। এ সময় মিটিংয়ে উপস্থিত সব শিক্ষককে অবাক করে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী ইকতার পিতলের ঘন্টা দিয়ে সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেনকে পেটাতে থাকেন। উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষক পিতলের ঘন্টা কেড়ে নিলে ইকতার ঘন্টা বাজানো কাঠের হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন।


এ ঘটনায় ফারুক হোসেন স্তম্ভিত হয়ে যান। জোড়গাছা গ্রামের স্থানীয় ছেলে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী ইকতার। বিদ্যালয়ের সামনেই বাড়ি। তাই তাকে কিছু বলার সাহস দেখাননি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ ঘটনায় তীব্র অপমানিত সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।
জোড়গাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তার ৩০ কেজি ওজনের একটি ছাগল অসুস্থ হয়ে পড়ায় জবাই করা হয়। এই নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তিনি বিবদমান দুই পক্ষকে এক জায়গায় বসিয়ে মিটমাট করে দেওয়ার সময় পাননি। তবে দুই একদিনের মধ্যেই তিনি মিমাংশা করে দেবেন বলে জানান।


সহকারী শিক্ষা অফিসার শামীম সুলতান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মারপিটের ঘটনা শুনেছি। বৃহস্পতিবার স্কুল খুললে বিস্তারিত জেনে জানানো যাবে।


গ্রামের একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ তুলে বলেন, ইকতার প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজ করে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না প্রায় দিনই। তিনি হাটে হাটে গরু কেনাবেচার দালালি করেন। ওই বিদ্যালয়ের অলিখিত হেড মাস্টার হচ্ছেন দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী ইকতার হোসেন।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram