১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালবৈশাখীর তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
মে ২১, ২০২২
25
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

কালবৈশাখীর তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে বৃষ্টি ও ভারি বজ্রপাতও হয়েছে। উপয়ে পড়েছে সড়কের বহু গাছ গাছ। গাছ ভেঙে বিপর্যস্তু হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। গতকাল ২ মে শনিবার ভোর ৫টার দিকে শুরু হওয়া এই ঝড় প্রায় ১৫ মিনিট স্থায়ী হয়। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এ সব এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কালিদাসপুর ইউনিয়নের কালিদাসপুর, আসাননগর, নওদাপাড়া, ডম্বলপুর, চর শ্রীরামপুর, জগন্নাথপুর, শ্রীরামপুর, রেলজগন্নাথপুর, পাইকপাড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কাল বৈশাখীর তান্ডবে বহু গাছপালা, ভেঙ্গে পড়ে। শ’ শ’ হেক্টর জমির আম, কাঁঠাল, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে দিনের অধিকাংশ সময়। জেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুটি টিনসেডের ছাউনি ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এসময় একটি পানি ট্যাঙ্ক ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে কয়েশ গজ দূরে জিকে খালের মধ্যে ফেলেছে। বিদ্যালয়ের কয়েকটি গাছের ডালপালা ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


আসাননগর গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, 'বাগানের সব আম ঝড়ে পড়ে গেছে। আর এক সপ্তাহ পর আম পাড়া শুরু হতো। কিন্তু ঝড়ের তাÐবে আমার ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেল।'


কৃষক খেতমত আলী বলেন, 'ফসলের ক্ষেতের বেশ ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের পর দেখা গেছে, জমিতে জমে থাকা পানির ওপর লুটিয়ে পড়েছে ধান। পেঁপে বাগানের খুব ক্ষতি হয়েছে। বেশির ভাগ পেঁপেগাছ উপড়ে গেছে। লাভ তো দূরের কথা, আসল টাকাও উঠবে না।'


আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মোখলেছুর রহমান জানান, কালবৈশাখীর কারণে সড়কের দু'পাশে বেশ কিছু গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে। গাছ উপড়ে বিদ্যুত লাইনের উপর ও সড়কের উপর পড়েছিল। সকাল থেকে বিকাল অবধি আলমডাঙ্গা কুষ্টিয়া সড়কে বড় ধরণের কোন যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। কিছু কিছু জায়গায় এলাকাবাসীর সহায়তায় আবার কোথাও কোথাও ফায়ার সার্ভিসের টিম গাছগুলো সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। বিকালে সড়ক থেকে গাছ সরানো হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।


আলমডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, 'ঝড়ে আম, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জেনেছি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি। আমাদের কৃষি অফিসের লোকজন মাঠে গিয়ে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে কাজ করছে।


গতকাল দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলার উপর দিয়ে বড় ধরণের ঘুর্ণিঝড় বয়ে গেছে। এতে প্রায় দেড় শ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অনেক গাছ উপড়ে গেছে। আমরা সরেজমিনে কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছি। বেশ কয়েকজন মানুষ আহত হয়েছেন। আমরা তালিকা প্রস্তুত করছি। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর, আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা এনামুল হক, কালিদাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আশাদুল হক মিকা, ইউপি সচিব আব্দুস সামাদসহ ইউপি সদস্যরা।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram