একজন ব্যক্তির কাগজ বিহীন জমি দাবী করার কারণে আলমডাঙ্গা হারদী উদয়পুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের নতুন ভবনের কাজ বন্ধ হয়ে আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মসজিদে জমিদানের ৩৬ বছর পর গ্রামের ছানোয়ার নামে এক ব্যক্তি কাগজ বিহীন জমি দাবীর কারণে নতুন ভবন করা সম্ভব হচ্ছে না।
জানাগেছে, উপজেলার হারদী ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের মৃত ছামেদ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান প্রায় ৩৬ বছর আগে তার নিজ নামীয় ১৬ শতক জমির মধ্যে তার বাড়ির ভিটার ৭ শতক জমি মসজিদের জন্য মৌখিক দান করেন। হাবিবুর রহমানের বশত ভিটার জমিতে এলাকাবাসি মসজিদ নির্মান করেন। হাবিবুর রহমান দীর্ঘবছর গ্রাম ছেড়ে চলে এসেছেন আলমডাঙ্গা। আলমডাঙ্গা আসার পর তিনি গত কয়েক বছর আগে মারা গেছেন।
বেশকিছু দিন আগে গ্রামের লোকজন মরহুম হাবিবুর রহমানের ছেলেদের নিকট এসে বলে তোমাদের বাবা মসজিদে জমি রেজিষ্ট্রি করে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি তো মারা গেছেন তোমাদের মতামত কি। পরে মরহুম হাবিবুর রহমানের দুই ছেলে মসজিদের নামে জমি রেজিষ্ট্রি করে দিতে রাজি হয়। এরই মধ্যে উদয়পুর গ্রামের মৃত রবজেল আলীর ছেলে ছানোয়ার হোসেন মসজিদের জমির মধ্যে তার জমি আছে বলে দাবী করেন। মরহুম হরিবার রহমানের ছেলেরাসহ গ্রামের লোকজন ছানোয়ারের নিটক জমির কাগজ দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি।
তিনি যে দাগের জমির দাবী করছে তার দলিলে সেই জমির দাগ নেই। গত ২২ সেপ্টেম্বর ওই মসজিদের নামে ৭ শতক জমি দানপত্র ও ৮ শতক জমি খোশ কবলা রেজিষ্ট্রি করে দেন হাবিবুর রহমানের ওয়ারিশগণ। জমি রেজিষ্ট্রির পরের দিন ওই জমিতে গ্রামবাসি কাজ করতে গেলে ছানোয়ার বাধা দেয় এবং আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই বিষয়ে উভয়পক্ষ আলমডাঙ্গা থানায় মিমাংসার জন্য বসেন। কিন্তু ছানোয়ার কোন কাগজ দেখাতে পারেন না।
পরে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর বলেন আমি নিজে ওই মসজিদের জমি দেখতে যাব। গতকাল সোমবার আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর, পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন স্বপন কুমার দাস, এসআই আমিনুল ইসলাম উদয়পুর মসজিদের জমি দেখতে যান। সেখানে গিয়ে গ্রামবাসির সামনে ছানোয়ার হোসেন জমির কোন দেখাতে পারেনি। তিনি ১০ দিন সময় নিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে জমির কাগজ দেখাবে।
এসময় আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে ছানোয়ার হোসেন এই জমির কাগজ দেখাবে। যদি দেখাতে না পাবে তাহলে গ্রামবাসি মসজিদের কাজ শুরু করবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হারদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আশিকুজ্জামান অল্টু, মরহুম হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন, ছেলে হাফিজুর রহমান, গ্রামের মেম্বার ফরিদ আলী, মন্ডল, সোহরাব হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, ইসমাঈল হোসেন, শফিউদ্দিন, আকছেদ আলী, মজিবর রহমান, সাইদুর রহমান, আশরাফ আলী, ইমাম ইমদাদুল হক, আব্দুস সাত্তার, মনিরুজ্জান, সাকের আলী, আলাউদ্দিন, মহর আলী, মহি উদ্দিনসহ উদয়পুর গ্রামের কয়েকশ সাধারন মানুষ।