আলমডাঙ্গায় বিশ্ব ডিম দিবস পালিত হয়েছে। ৯ অক্টোর শুক্রবার বেলা ১১টায় দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, র্যালি ও ডিম বিতরণ করা হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্রতিদিনই ডিম খাই, রোগ- প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াই’।
আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহি কাফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি শাহ আলম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল আজম, , আলমডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি রহমান মুকুল, আলমডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির সহসভাপতি মাসুদ রানা তুহিন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শামীম রেজা শামীম, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও তরুন উদ্যোক্তা ইমদাদুল হক হিমেল, লিমন মল্লিক, আশরাফুল আলম।
প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারন কর্মকর্তা ডা. শরিয়তুল্লাহর উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন মামুন পারভেজ, শামীম, জাহাঙ্গীর আলম, শফিকুর রহমান, শাহাবুদ্দিন, শামসুল হুদা, মিনারুল, হাফিজুর রহমান, ওমর আলী, দিপক, কামাল হোসেন, হাসান, জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ডিম একটি পরিপূর্ণ খাদ্য। ডিমে মিনারেল ও ভিটামিন আছে। নব্বইয়ের মাঝামাঝি সময়ের তুলনায় বর্তমান সময়ে মা ও শিশু অপুষ্টির হার এক তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে। শুধু ডিম ও মুরগির মাংসের উৎপাদন বাড়ার কারণেই এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।
প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠন, সর্বোপরি ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৬ সাল থেকে এ দিনটি বিশ্বজুড়ে একযোগে পালিত হয়ে আসছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মানুষ বছরে ডিম খায় গড়ে মাত্র ৪৫-৫০টি। অথচ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বছরে একজন মানুষের ন্যূনতম ১০৪টি ডিম খাওয়া উচিত। আলোচনাসভা শেষে শহরের বিশাল র্যালি বের করা হয় ও অংশগ্রহণকারী সকলকে ডিম খাওয়ানো হয়।