আলমডাঙ্গা পোলতাডাঙ্গায় প্রবাসির স্ত্রী ২ সন্তানের জননীর ঘরে ঢুকে ১ সন্তানের জনক রুহুল গ্যাঁড়াকলে পড়ে বিয়ে। ২৮ এপ্রিল গভীর রাতে সাবেক প্রেমিকার ঘরে ফূর্তি করতে গেলে রুহুলকে আটকে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
জানাগেছে, উপজেলার পোলতাডাঙ্গা গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে ১ সন্তানের জনক রুহুল (৩২) একজন মুদিদোকানসহ ফ্লেক্সি ব্যবসায়ী। একই গ্রামের মালেশিয়া প্রবাসির স্ত্রী ২ সন্তানের জননী শ্যামলী খাতুন দোকানে আসা যাওয়ার একপর্যায়ে রুহুলের সাথে পরোকিয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে বেশ কয়েক মাস আগে রুহুল প্রবাসির স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। কয়েকদিন আগে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তারপর থেকে শ্যামলী খাতুন ওই গ্রামের পিতা আব্দুল গনির বাড়িতে থাকে। মাঝে মাঝেই রুহুল রাতের আধারে গোপনে শ্যামলীর ঘরে যাওয়া আসা করতো।
২৮ এপ্রিল রাতে রুহুল শ্যামলীর ঘরে প্রবেশ করে। শ্যামলীর পরিবারের লোকজন তাদেরকে একঘরে আটকে রাখে। গভীর রাতে এ সংবাদ গ্রামের লোকজন ভিড় জমায় আব্দুল গনির বাড়িতে।
রুহুলের বড়ভাই তাকে ঘরে আটকে রেখেছে এ সংবাদ পেয়ে রাতেই আব্দুল গনির বাড়িতে গিয়ে চড়াও হয়। ছোট ভাইকে ছাড়াতে বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি দিয়েও কোন কাজ না হওয়ায় ব্যর্থ বাড়ি চলে যায়।
রাতেই আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে প্রাবাসির স্ত্রী ও রুহুলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সকালে আত্মীয় স্বজন থানায় আসলে শ্যামলী খাতুন প্রবাসি স্বামীকে তালাক দিয়ে রুহুলকে বিয়ে করতে রাজি হয়। পরে রুহুলও বিয়েতে রাজি হলে তাদেরকে নিয়ে বাড়ি চলে যায়।