চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৌর নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী বাছাই নিয়ে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ৬ জন দলীয় প্রার্থীর নাম পৌঁছে গেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। ফলে মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীদের মধ্যে শুরু হয়েছে হাইপারটেনশন। নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থী কে হচ্ছেন তা নিয়ে চলছে জোর গুঞ্জন ও আলোচনা।
জানা যায়, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। এ তালিকায় আলমডাঙ্গা পৌরসভার নাম রয়েছে। তফসিল মোতাবেক মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষে তারিখ ১৭ জানুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ তারিখ ১৯ জানুয়ারি, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষে দিন ২৬ জানুয়ারি ও ভোট গ্রহণের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি। তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নড়েচড়ে বসতে শুরু করেছেন। আলমডাঙ্গা পৌরসভার কয়েকজন ভোটারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন।
ভোটাররা আরও জানান, প্রার্থীতা চুড়ান্ত হলে ভোটের যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। একই সাথে প্রার্থীর সমর্থক ভোটাদের মধ্যেও ভোটের আমেজ লক্ষ্য করা যাবে। চূড়ান্তভাবে ভোটযুদ্ধ শুরু হবে। অধিকাংশ ভোটারের ধারণা — যিনি আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন তিনিই মেয়র নির্বাচিত হবেন। আওয়ামীলীগের বাইরে কারও নির্বাচিত হওয়া খুব কষ্টকর হবে। সে কারণে সকল ভোটারের দৃষ্টি কেন্দ্রের দিকে।
কে পাবেন বরমাল্য নৌকার টিকেট? ইতোপূর্বে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে জেলা আওয়ামীলীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী ৪ জন প্রার্থীর নাম চুড়ান্ত করে ঢাকায় কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে জেলা আওয়ামীলীগ ৪ জন প্রার্থীর নাম পাঠালেও পরবর্তীতে ঢাকা অফিস থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আরও ২ জন প্রার্থি মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন।
এখন আওয়ামীলীগের মনোনয়নপত্র প্রত্যাশি ৬ জন হলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র হাসান কাদির গনু, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ইয়াকুব আলী মাস্টার, সাবেক পৌর সভাপতি আবু মুসা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক ও জেলা কৃষকলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সামসাদ রানু।
দলীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রার্থীদের তালিকা কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে বলেও ঢাকার একটি সূত্র জানিয়েছে। দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম – ফেসবুকে নানা আলোচনা এমনকি গুজবও সমানভাবে চলছে।
প্রার্থীর সমর্থকরা নিজেদের প্রার্থীর নানা গুরুত্ব তুলে ধরে একাধিক পোস্ট দিচ্ছেন ফেসবুকে। অনেকে মোড়ের চায়ের দোকানে আসর মাতাচ্ছেন। কে এগিয়ে আছে, কে পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে এসব তথ্যের কোন ভিত্তি নেই বলে ভোটাররা জানান।
এদিকে, মনোনয়ন প্রত্যাশী সকলেই নিজেদের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নিয়ে এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। দলীয় মনোনয়ন পেতে সকল প্রার্থীই নিজেদের সমর্থকের কাছে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন। আলমডাঙ্গায় এখন একটাই আলোচনা কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি? কে হচ্ছেন আগামি দিনের পৌরপিতা?