জঘন্য মিথ্যা, ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আলমডাঙ্গা থানাপাড়ার ব্যবসায়ী নাহিদ হাসান। গত ৩০ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
পঠিত লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, নাহিদ হাসানের বাবা আলহাজ্ব মুসা হক শহরের বিশিষ্ট ঠিকাদার ও ইটভাটা মালিক। তাছাড়া, তিনি ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি হিসেবেও পরিচিত। জমি নিয়ে মুসা হকের সাথে আলমডাঙ্গার শ্যামপুরের ওল্টুর বিরোধ চলছে। এরই প্রেক্ষিতে শ্যামপুরের সোহেল রানা যিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত “খবর বাংলাদেশ” নামে এক পত্রিকায় কর্মরত দাবি করে মোবাইলফোনে অর্থ দাবি করেন।
দাবিকৃত অর্থ দিতে অপরাগতা স্বীকার করলে তিনি আমার আব্বার বিরুদ্ধে পত্রিকায় নিউজ করার হুমকি দিয়েছিলেন। ৩০ জুন তারিখে প্রকাশিত পত্রিকায় তিনি উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমার আব্বাকে জড়িয়ে জঘন্য মিথ্যাচার করে খবর বাংলাদেশ পত্রিকার শেষ পাতায় সংবাদ পরিবেশন করেছেন।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের ছবি তুলে তা আবার আমার ইমো-তে পাঠিয়েছেন। আমার আব্বা শহরের বিশিষ্ট ঠিকাদার ও ইটভাটা ব্যবসায়ী হিসেবে সুপরিচিত। তিনি শহরে ধর্মভীরু ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত। তা সত্বেও তিনি সংবাদপত্রে আমার আব্বাকে ভূমিদস্যু ও ডাকাত সর্দ্দার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ফলে আমার আব্বাসহ আমাদের পুরো পরিবার সমাজে মারাত্মকভাবে হেয়, ক্ষতিগ্রস্ত ও অসন্মানিত হয়েছি।
এ ধরণের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যাচারসর্বস্ব সংবাদ প্রকাশ শুধু সংবাদপত্রের নীতি বহির্ভূতই না, প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই ঘটনায় আদালতের দারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে জঘন্য মিথ্যাচারসর্বস্ব ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ পরিবেশনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।